মণিদীপা কর: ‘এখনও তো কেউ জানে না আমার স্ট্যাটিসটিক্স!’ সত্যিই তো তন্বী থাকতে কে না চান? বিশেষ করে ফিগার কনসাস আধুনিকারা। তাই জিম কিংবা জগিংয়ে খামতি রাখতে চান না তাঁরা। তবে সমস্যা একটাই, ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় ‘সকলে দেখছে’ জাতীয় সংকোচ।
[জানেন, কীভাবে হবু স্ত্রীর চোখে আপনি হয়ে উঠতে পারেন ‘পারফেক্ট’ পুরুষ?]
ফিট রেটেড সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সময় বদলালেও পাল্টায়নি দৃষ্টিভঙ্গি। তাই জগিংয়ের সময় পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির কারণেই মন খুলে একটু ঘাম ঝরাতেও দ্বিধাবোধ করেন মহিলারা। বিশেষ করে যুবতীরা ভেস্টকেডস পরে জগিং শুরু করলেই তাঁদের দিক থেকে যেন নজর সরতেই চায় না মর্নিং ওয়াকারদের। নানারকম অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করা হয়। ফলে পুরুষদের কুনজরকে উপেক্ষা করবেন, নাকি মন খুলে শরীরচর্চা করবেন, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে ভোগেন যুবতীরা। তাই খোলা মাঠে বা রাস্তায় নয়, বাড়িতে ট্রে়ডমিলে শরীরচর্চা করতেই বেশি পছন্দ করেন অনেকেই।
[সঙ্গমের পর এই কাজগুলি করেন? নতুন বছরে পালটে ফেলুন অভ্যাস]
এই সমস্যা যে পুরুষদের হয় না এমনটা নয়। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ‘কে কী ভাবছে’ বা ‘কে কে দেখছে’ জাতীয় অস্বস্তিতে বেশি ভোগেন যুবতীরাই। শতাংশের হিসেবে ৫১ জন পুরুষদের যদি জগিং করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন, তাহলের যুবতীদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৬৪.৯। পরিস্থিতি এতটাই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, যে অনেকেই কুনজরের ভয়ে অনেকে শরীরচর্চা বা জগিং করা বন্ধই করে দেন।
[নতুন বছরে কেমন হবে আপনার যৌনজীবন? বলছে রাশিফল]
কিন্তু, কেন এই অস্বস্তি বা আড়ষ্টতা? তিন চতুর্থাংশ মহিলা ও ৫১.৬ শতাংশ পুরুষের উত্তর, অন্যের চোখে নিজের অতিরিক্ত ওজন সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরতে চান না তাঁরা। তবে যুবতীদের ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য একটি সমস্যাও আছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ সময়ই পুরুষরা দৃষ্টি দিয়ে শরীর মাপেন। বাধ্য হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় জগিং করা তো দূরের কথা, বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেও সিঁটিয়ে থাকেন বেশিরভাগ যুবতী। অনেকে তো আবার সমস্যার কথা স্বীকার করতেও চান না। ফিটনেসের অজুহাতে শরীরচর্চা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু, ঘটনা হল, জিম থেকে যাওয়া ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। চার দেওয়ালের ঘরই হয়ে ওঠে ফিট ও স্লিম হওয়ার গুপ্ত সাধনাকক্ষ।
[এই উপায় অবলম্বন করলেই মিলবে চশমা থেকে মুক্তি]