শুভঙ্কর বসু: নন্দীগ্রাম (Nandigram) মামলার পর বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাস থেকে এবার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হল।
সম্প্রতি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য এসেছে বিচারপতি চন্দর বেঞ্চে। সেই মামলাই সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মানিকতলা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী তথা যুব তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী মামলা স্থানান্তরের আরজি জানিয়েছেন। যদিও এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: মেলেনি রক্তদান শিবিরের অনুমতি, ‘সংকীর্ণ রাজনীতি’র অভিযোগে ধরনায় বিজেপি]
নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল ও জয় মুখোপাধ্যায়। তাঁদের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর বক্তব্য ছিল, ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভায় হাজির হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর একটি জনপ্রিয় বাংলা ছবির কিছু ডায়লগ ব্যবহার করেছিলেন। তারপর রাজ্যের বিভিন্ন জনসভায় ধারাবাহিকভাবে সেটি ব্যবহার করেন অভিনেতা। যার ফলে মানুষ হিংসায় প্ররোচিত হয়েছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪ ও ৫০৫-সহ মোট ছ’টি ধারায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। যেখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা। এর ফলে ছয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
এই এফআইআর (FIR) খারিজের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মামলায় তাঁর বক্তব্য, আসলে তিনি তাঁর ভক্তদের অনুরোধেই কেবল বিনোদনের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল না। কিংবা হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যও নেই। মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীকে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফত সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে মিঠুনের ৪৫ মিনিট কথোপকথন হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এরপরই বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রর বেঞ্চে এই মামলাটি চলে আসে। আর এই বেঞ্চে মামলা চলায় আপত্তি জানিয়েছেন অভিযোগকারী মৃত্যুঞ্জয় পালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী।