সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দু’বেলা মরার আগে মরব না ভাই মরব না/আমি ভয় করব না ভয় করব না।’ কবিগুরুর এই গানেই যেন দীক্ষিত সমাজের করোনা যোদ্ধারা। তাই তো করোনাসুরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পৃথিবীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। কখনও কাজের বোঝায় কাঁধ নুইয়ে পড়ে তো কখনও দীর্ঘক্ষণের খাটনিতে হাঁপিয়ে ওঠেন। কিন্তু ওইটুকুই। সে কষ্ট টের পেতে দেন না সমাজকে। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার মানার প্রশ্নই নেই তাঁদের। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ উপরের ছবিটি।
এ এক অন্য যুদ্ধ ক্ষেত্র। এখানে শত্রুপক্ষকে চোখে দেখা যায় না। ঢাল তলোয়ারের বদলে এই রণভূমিতে যোদ্ধার অস্ত্র পিপিই (PPE), মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার। নেই কোনও যুদ্ধবিরতিও। কিন্তু তাঁরাও তো আপনার-আমার মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। তাঁরাও তো ক্লান্ত হন, হাঁপিয়ে ওঠেন। যদিও সে দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না। বরং করোনার (Coronavirus) বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইটাই ফুটে ওঠে বারবার। ঠিক সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে অসমের এক নার্সের ছবি। দেখা যাচ্ছে, পিপিই স্যুট পরে পা ছড়িয়ে মেঝেতে বসে তিনি। কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন। খানিকটা জিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার যে লড়তে হবে! এই ছবিই দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, কতখানি ঝুঁকিপূর্ণ আর পরিশ্রমের কাজ করছেন এই যোদ্ধারা। মনে করিয়ে দিচ্ছে, তাঁরাও মানুষ। অসমের ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরমে তাঁদেরও কষ্ট হয়। আর গরমের মধ্যে পিপিই গায়ে চাপালে যে সেই কষ্ট আরও বাড়ে, তা বলাইবাহুল্য।
[আরও পড়ুন: খাবার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল খুদে, তারপর…]
অসাধারণ যোদ্ধাদের এই ‘সাধারণ’ আচরণকেই কুর্নিশ জানাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছবিটি রিটুইট করে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা লিখেছেন, “আমার দলের জন্য আমি গর্বিত।” অনেকেই বলছেন, নিস্বার্থে যেভাবে মেডিক্যাল যোদ্ধারা কাজ করছেন, তাকে স্যালুট জানাতেই হয়।
এই কাজে কতখানি ঝুঁকি, তাঁরা জানেন। তারপরও সরে দাঁড়াননি। তাই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ না করে তাঁদের পাশে থাকা প্রত্যেকেরই জরুরি। সকলেরই মনে রাখা উচিত, এই করোনা যোদ্ধাদের জন্যই দেশ ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পারছে।
[আরও পড়ুন: ৩০ বছর ধরে ‘খবরের বোঝা হাতে’ পাহাড়-জঙ্গল পার! আজকের ‘রানার’কে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
The post তীব্র গরমে পিপিই গায়েই মেঝেয় বসে হাঁপাচ্ছেন ক্লান্ত নার্স, করোনা যোদ্ধার ভাইরাল ছবিকে কুর্নিশ appeared first on Sangbad Pratidin.