সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যানের সঙ্গে বীরেন্দ্র শেহবাগের তিক্ততার সম্পর্ক বহুদিনের। খেলা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে তাঁদের টুইটার পেজ। তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। রবিবার লর্ডসে মিতালি রাজদের হারিয়ে ইংল্যান্ড চতুর্থবার বিশ্বকাপ জিততেই ফের শেহবাগকে খোঁচা দিলেন মর্গ্যান।
[৫০তম টেস্টের আগে শাস্ত্রী সম্পর্কে মুখ খুললেন অশ্বিন]
শেষ মুহূর্তে শ্রাবসোলের ঝোড়ো বোলিংয়ের সামনে তছনছ হয়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। শেষ হয়ে যায় প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে মিতালিরা যেভাবে পারফর্ম করলেন, তাতে গোটা দেশ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শচীন তেণ্ডুলকর, গৌতম গম্ভীর থেকে যুবরাজ সিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কেউই। উপেক্ষিত, অবহেলিত মহিলা ক্রিকেটে নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন ঝুলনরা। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হারলেও দেশবাসীর মন জয় করতে সফল হয়েছেন তাঁরা। তবে এসবে কিছু যায় আসে না মর্গ্যানের। তাঁর কাছে ফাইনালের একটাই ব্যাখ্যা। আর তা হল, ইংল্যান্ডের জয় আর ভারতের হার। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাই বীরুকে খোঁচা দিতে দেরি করেননি তিনি। টুইট করে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে তাঁর প্রশ্ন, “কী শেহবাগ, সব ঠিক আছে তো?” এখানেই থামেননি। গত বছর অলিম্পিকে একতরফা একটি বাজি ধরেছিলেন মর্গ্যান। চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, অলিম্পিকে ভারত আরও একটা সোনা জয়ের আগেই বিশ্বকাপ ঘরে তুলবে ইংল্যান্ড। তাঁর দাবি, তিনি বাজি জিতেছেন। তাই শেহবাগের থেকে শর্ত মতো ১০ লক্ষ টাকাও চেয়েছেন তিনি।
কিন্তু বীরুকে খোঁচা খেলে যে তা বুমেরাং হবে, সে কথা হয়তো মনেই ছিল না মর্গ্যানের। হলও তাই। বাইশ গজে যেভাবে পুল শটে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতেন মারকাটারি ওপেনার, সেভাবেই তাঁর টুইটে কুপকাত হলেন মর্গ্যান। তিনি লেখেন, “হারের পরও আমরা সবাই যতটা গর্বিত তা আপনি কখনওই হতে পারবেন না। সবসময় তো সুযোগ হয় না। তাই এই মুহূর্তটা উপভোগ করুন।”
শেহবাগের পাশে দাঁড়িয়ে মর্গ্যানের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটিজেনরাও। ব্রিটিশ মহিলাদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, পুরুষ দল তো এখন বিশ্বকাপ জেতেনি। তাই মর্গ্যানকে অপেক্ষাতেই থাকতে হবে।
[মিতালি-হরমনপ্রীতদের পদোন্নতির কথা ঘোষণা রেলের]
The post বিশ্বকাপে মিতালিদের হার নিয়ে শেহবাগকে খোঁচা মর্গ্যানের, তারপর… appeared first on Sangbad Pratidin.