সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে সমীকরণ সব সময়ই পালটাতে থাকে। আজ যে ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী, কাল সেই বন্ধু হয়ে উঠছে, এমন দৃশ্য বিরল নয়। সেকথাই যেন নতুন করে অনুভব করা যাচ্ছে পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) ও অমিত শাহর (Amit Shah) মধ্যে সাম্প্রতিক ‘বন্ধুত্বে’র গুঞ্জনে। আগেই একমঞ্চে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার শাহ-বিজয়ন বন্ধুত্ব নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলে। যা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠছে, যে কেরলে বিজেপি এত দুর্বল, সেখানে শাসক বামেদের সঙ্গে তাদের এই নয়া ঘনিষ্ঠতা কি কোনও নতুন কৌশল? প্রশ্নগুলো সহজ নয়। উত্তরও এখনও জানা যায়নি। কেবল নানা গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে।
মোদি ও বিজয়নের মধ্যে সুসম্পর্ক কোনও নতুন কথা নয়। রাজ্যের নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে কোনও ভায়া হয়ে নয়, সরাসরি ফোন ঘুরিয়েই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্কের গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য়ে নৌকা দৌড়ের প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হয়েছিলেন অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন: কেষ্ট না ফেরা পর্যন্ত ৩ গুণ লড়াই, ওকে বীরের সম্মানে বের করে আনবেন: মমতা]
পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের কাউন্সিলের বৈঠকেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
কিন্তু কেন? পিনারাই বিজয়নের মতো বামপন্থী নেতা, যাঁর সঙ্গে বিজেপির ভাবাদর্শের ন্যূনতম কোনও মিল নেই, তিনি কেন এভাবে মোদি-শাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন? আসলে সোনা পাচার মামলায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই কেন্দ্রের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বে’র দিকে হাঁটছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কেরলে বিজেপি অত্যন্ত দুর্বল দল। কংগ্রেসের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া জোট এখানে প্রধান বিরোধী শক্তি। সেই হিসেবে বিজেপির কাছে কেরল প্রাধান্য পাওয়ার কথা নয়। আর তাই প্রশ্ন উঠছে, বিজয়ন যতই ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা ভাবুন, শেষ পর্যন্ত এই বন্ধুত্ব টিকবে তো?