সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি ৫ বছরে কেরলে (Kerala) ক্ষমতা বদলের প্রথা দেখেছে গোটা দেশ। এক বার বামেরা (Left) তো পরের বার কংগ্রেস (Congress) ক্ষমতা দখল করে এসেছে এতদিন। এবারে কার্যত একক ক্যারিশমায় সেই মিথ ভেঙে দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। প্রথা ভেঙে বিজয়নের নেতৃত্বেই ঈশ্বরের আপন দেশে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা পেয়েছে বামেরা। প্রত্যাশিতভাবেই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বামেদের জয়ের নায়ক বিজয়ন। তবে, শপথের দিনও তাঁকে তাড়া করল কে কে শৈলজাকে বাদ দেওয়ার খচখচানি।
বৃহস্পতিবার এক ছোট্ট অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজয়ন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। ছোট্ট অনুষ্ঠানে বিজয়নের নতুন মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্যও শপথ নেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন ১৪০ জন বিধায়ক। ২৯ জন সাংসদ, সরকারের শীর্ষ আধিকারিক এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। উপস্থিত অতিথিদের প্রত্যেককেই গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শপথ নিয়েই টুইটারে বিজয়ন ঘোষণা করেছেন, এবার তিনি মানুষের মনোভাব বুঝে নতুন কেরল গড়তে চান।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও মহামারী! রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের]
কিন্তু বিজয়নের শপথের দিনও অস্বস্তি পিছু ছাড়ল না সিপিএমের। গত ৪০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস বদলে এবারে পরপর দু’বার ক্ষমতা দখল করেছে বামেরা। এই সাফল্যের অন্যতম কারণ করোনা পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত কাজ করা। অথচ, সেই দুর্দান্ত কাজের নেপথ্যে যার হাত সেই কে কে শৈলজাকেই (K K Shailaja) এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দেননি বিজয়ন। আসলে পরপর দু’বার মন্ত্রী হওয়া কোনও সদস্যকেই এবারের মন্ত্রিসভায় রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। বদলে এবারে জায়গা পেয়েছে একঝাক তরুণ মুখ। সেই তরুণ মুখেদের মধ্যে আবার বিজয়নের জামাইও রয়েছেন। যা নিয়ে বিতর্ক চলছে এখনও। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “দলের পলিসি মেনেই বাদ দেওয়া হয়েছে শৈলজাকে। কারও একজনের জন্য নিয়ম বদলানো যেতে পারে না। মন্ত্রিসভার আরও অনেক সদস্যই তো ভাল কাজ করেছেন।”