স্টাফ রিপোর্টার: নতুন বছরের ১০ দিন পার, এখনও কেন্দ্রের আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা মেলেনি। বাকি ৮০ দিনে কী করে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নবান্ন। যদিও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ মতো বাড়ি অনুমোদনের কাজ দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে রাজ্যে। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম ছ’টি কাজের দিনে ৬ শতাংশ অনুমোদনের কাজ এগিয়েছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ লক্ষ ১৯ হাজার বাড়ির অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য। যা ছিল মোট বাড়ির ৮৯ শতাংশ। আর মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তা বেড়ে ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪০০টি হয়েছে। অর্থাৎ নয়া বছরের ছ’টি কাজের দিনে ৫৭ হাজার ৪০০টি নতুন বাড়ির অনুমোদন দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। নবান্নের এক শীর্ষকর্তার কথায়, অনুমোদনের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ। সবথেকে ভাল কাজ এগিয়েছে হাওড়া, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়াতে। পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অনুমোদন দেওয়ার দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জানালা পর্যন্ত গাঁথনি করে ফেলতে হবে। তার আরও ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত গাঁথনি সেরে ফেলতে হবে উপভোক্তাদের। এর ১৫ দিন পর বাড়ির কাজ দেখতে ভেরিফিকেশনের জন্য যাবে সরকারি টিম। কিন্তু টাকা না আসায় কোনও কাজই সময় মেনে এগোচ্ছে না। ফলে কীভাবে ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হবে তাই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে উঠল বয়কট! ‘আদালতের সন্মান নষ্ট করবেন না’, আরজি বিচারপতি মান্থার]
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিনও প্রত্যেক জেলার নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা। সেখানে যে পাঁচ শতাংশ বাড়ির অনুমোদন বাকি রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, কেউ চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছে। কারও বা জমির সমস্যা রয়েছে। কেউ বা আধার খুঁজে পাচ্ছেন না। এই সমস্ত নানা সমস্যাতেই আটকে রয়েছে বাকি কাজ। তবে সবকিছুর শেষে কেন্দ্রের টাকা না আসাতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে নবান্নের কর্তাদের। এক আধিকারিকের কথায়, নতুন বছরের প্রথম দশটা দিন শেষ হয়ে গেল। কিন্তু টাকা এখনও আসেনি। বাকি রয়েছে ৮০ দিন। টাকা না এলে তো পরবর্তী ধাপের কাজ এগোনো যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই আবাসের কাজের হাল-হকিকত দেখে গিয়েছে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদহ জেলার আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার। শীঘ্রই সেবিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠাবেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, আবাসের কাজ দেখতে ফের এরাজ্যে কেন্দ্রের টিম আসতে পারে।