সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এগিয়ে বাংলা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ ও সুগম করতে ‘সুবিধা ভেহিকেল ফেসিলিটেশন সিস্টেম’-এর জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের স্বর্ণপদক পেল। শনিবার কেন্দ্রের কর্মিবর্গ, জন অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রকের তরফে বাংলাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ইন্দোরে ন্যাশনাল ই-গভর্ন্যান্স কনফারেন্সে বাংলার প্রতিনিধির হাতে স্বর্ণপদক তুলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। অনুষ্ঠানে রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বস্তুত, ই-গভর্ন্যান্সের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগটি আগেই সারা দেশের প্রশংসা পেয়েছে। আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। বাংলায় ব্যবসায়িক সুবিধার উন্নতি এবং বাণিজ্যে সময় ও খরচ কমানোর জন্য রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এই স্বর্ণপদক।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যতই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করুক, নিজেদের কাজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার একের পর এক পুরষ্কার জিতে নিচ্ছে। তাও আবার সেই পুরষ্কার দিচ্ছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। আগে একাধিকবার এমন নজির দেখা গিয়েছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রইল।
[আরও পড়ুন: ‘বউমাকে রাজি করাও’, স্বামীর মুখে ‘কুকথা’ শুনে গলা কাটল স্ত্রী]
পুরস্কারের সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা পাবে রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর। ‘সুবিধা ভেহিকেল ফেসিলিটেশন সিস্টেম’ হল একটি সুসংহত পদ্ধতি। এই ই-পরিষেবাটির জন্য পণ্যবাহী ট্রাকগুলির সীমান্ত পার করতে কম সময় লাগে এবং সে কারণে অপেক্ষার জন্য যে ক্ষতি হয় তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে দ্রুত ছাড়পত্র এবং যানবাহন চলাচলের জন্য ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস (সিবিআইসি) এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র সমন্বয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই পোর্টালটি তৈরি করেছে।
সিস্টেমটি রপ্তানিকারকরা পেট্রাপোল দিয়ে ট্রাক পার করার ছাড়পত্রের জন্য অনলাইনে স্লট বুক করতে পারেন। ছাড়পত্রের জন্য মিললে রপ্তানিকারকদের একটি ই-সুবিধা পাস থাকতে হবে এবং পোর্টালে ট্রাকচালক ও গাড়ির তথ্য ডিজিটালভাবে আপলোড করতে হবে। এটি ট্রাকগুলিকে সীমান্ত অতিক্রম করতে যে সময় নেয় তা হ্রাস করে।
[আরও পড়ুন: ‘বেশ করেছি, একটুও লজ্জিত নই’, বলছেন মুসলিম পড়ুয়াকে পেটানোর নিদান দেওয়া শিক্ষিকা]
অনলাইন বুকিং সুবিধা রপ্তানিকারকদের পার্কিং স্লটের প্রাপ্যতা পরীক্ষা করতে এবং তাদের পছন্দের স্লট আগে থেকেই সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে, যাতে ট্রাকগুলি নির্ধারিত দিনে চেকপোস্টে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করে। প্রতিটি পর্যায়ে রপ্তানিকারীরা রিয়েল-টাইম আপডেট মেসেজ পান। আগে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে প্রবেশের জন্য চালকদের ৩০ থেকে ৪০ দিন অপেক্ষা করতে হত।