সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মিলে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুরশিতে বসবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদেশের সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, নয়াদিল্লির বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে সবসময় পাশে থাকবে ঢাকা। এই বন্ধুত্ব আগামিদিনে আরও মজবুত হবে।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবর অত্যন্ত সুন্দর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেকথা বারবার স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুজিবকন্যা হাসিনা। আর মোদির সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাই নমোর এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বুধবার শুভেচ্ছাবার্তায় হাসিনা লেখেন, 'আমার এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের তরফ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক অভিনন্দন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা আপনি। ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্খা বহন করেন আপনি । আপনার এই জয় আপনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং উত্সর্গের প্রতি ভারতের জনগণের আস্থার প্রমাণ। দুদেশের নাগরিকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আগামিদিনেও আমরা একযোগে কাজ করব। আমাদের এই বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে।' হাসিনার পাশাপাশি এদিন মোদি , এনডিএ জোট ও বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদও।
প্রায় দেড় মাস ধরে চলা অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। ভারতের এই নির্বাচনের উপর নজর ছিল বিভিন্ন দেশের। জনতার রায় ঘোষণা হওয়ার পর মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই তালিকায় রয়েছেন, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, মালদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহ, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি-সহ আরও অনেকে। এদিকে, সীমান্ত সংঘাতের আবহেও মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছে চিন। সকলেই বার্তা দিয়েছেন আগামিদিনে একসঙ্গে কাজ করার।