সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে জাতির উদ্দেশে সপ্তম ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বক্তব্যের শুরুতেই উৎসবের মরশুমে সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। আনলক প্রক্রিয়া চালু হলেও ভাইরাস চলে যায়নি বলে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে রাজ্যের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?]
এদিন, আমেরিকা, ব্রাজিল, স্পেন ও ব্রিটেনের মতো বিশ্বের অন্য করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তুলনায় ভারতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতি দশ লক্ষে কম বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ ২ হাজার ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। পরিকাঠামো ও আর্থিক দিক থেকে মজবুত দেশগুলির তুলনায় ভারত করোনা মোকাবিলায় অনেকটাই এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন মোদি।
নিজের ভাষণে চিকিৎসক ও অন্য করোনা যোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা মনে করলে ভুল হবে যে করোনা চলে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাইরে যাচ্ছেন। নিজের সুরক্ষায় গাফিলতি করছেন। যাঁরা এমন করছেন তাঁরা এটা মনে রাখুন আপনারা বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের বিপদে ফেলছেন। আমরা দেখেছি আমেরিকা ও অন্য দেশে করোনা কমে গিয়ে ফের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। ফলে গাফিলতির পরিণাম মারাত্মক হতে পারে।” এদিন প্রধানমন্ত্রী সন্ত কবীর দাসের দোহা আবৃত্তি করে বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত মহামারীর টিকা না আসছে ততক্ষণ করোনার সঙ্গে আমাদের লড়াই থামালে চলবে না। আজ মানবজাতিকে বাঁচাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে বিভিন্ন দেশ। ভারত ও ভ্যাকসিন তৈরির উদ্দেশে কাজ করছে।” তারপর দেশবাসীকে নবরাত্রি , দশেরা ও ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
এদিকে, জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর কটাক্ষ, “৬টায় জাতির উদ্দেশে বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে সেই তারিখ ঘোষণা করুন যেদিন তিনি ভারতের জমি থেকে চিনকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন।”
করোনা কালে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ঘিরে রীতিমতো কৌতূহল তুঙ্গে ছিল দেশজুড়ে। আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশে আজ সন্ধ্যা ৬টায় বার্তা দেব আমি।’ ওই বার্তা শোনার আরজিও জানান তিনি। কিন্তু কোন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন মোদি তা নিয়ে ধন্দ ছিল। তবে অনেকেই মনে করেছিলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বার্তা দিতে পারেন তিনি। শীতের সময়ে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন। অন্য দিকে দেশ জুড়ে উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। সেই উৎসবে মাতামাতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। সেই সব বিষয়ে সতর্কবার্তা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর বার্তায়।