সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকসের পর G-20 সম্মেলনের আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে রইল করোনার প্রভাব ও তার থেকে বাঁচার উপায়। তাবড়-তাবড় রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে সম্মেলনের ভারচুয়াল মঞ্চে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Narendra Modi)। তাঁর কথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় সংকটের মোকাবিলা করনি বিশ্ব। করোনা পরিস্থিতিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার পঞ্চদশ জি ২০-র ভারচুয়াল বৈঠকে প্রধান পদটি অলঙ্কৃত করেন সৌদি আরবের রাজা। তিনি করোনা (Corona Virus) পরবর্তী অবস্থায় গোটা বিশ্বের অবস্থা ঠিক কেমন হবে তার উপর জোর দেন। সে বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বযুদ্ধের পর এতবড় টার্নিং পয়েন্ট আর আসেনি। এই অবস্থায় আর্থিক পুনরুজ্জীবন, কর্মসংস্থান, শিল্পায়নে জোর ইত্যাদির পাশাপাশি পৃথিবীকে সমস্ত রকম সংকট থেকে রক্ষা করার উপরেও জোর দেন মোদি।” তাঁর কথায় সম্মত হন অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা। প্রতিভা, দক্ষতা, প্রযুক্তি, স্বচ্ছতা এবং ভরসার নিরিখে সারা বিশ্বের সূচক নির্ধারণ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন মোদি।
[আরও পড়ুন : মোদির দূরদৃষ্টিই আর্থিক বিকাশের পথ সুগম করছে, প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা মুকেশ আম্বানির]
এই ভারচুয়াল সামিটে জি-২০ সেক্রেটারিয়েট গড়া নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, মহামারী পরিস্থিতি দেখিয়ে দিয়েছে, যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করা যায়। ফলে ভারচুয়াল সেক্রেটারিয়ট গঠনে বাধা নেই। পরে টুইট করে তিনি জানান, জি-২০-এর নেতৃত্বের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সহজেই মহামারী বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এদিনই জি২০-র ভারচুয়াল সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে দেশের শক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিশ্বের শক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য একযোগে ভারতও এগিয়ে চলেছে। শনিবার গুজরাটের গান্ধীনগরের পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের সব কাজই কঠিন হয়ে উঠলেও তারা তা সামলে এগিয়ে চলেছে, একথা উল্লেখ করে এদিন তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখও হন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন : শুরুতেই ধাক্কা! প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে বায়োটেকের টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবী]
সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত ভাষণেই আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রজন্মকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জীবনে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারলে অবশ্যই সাফল্য আসবে। দায়িত্বজ্ঞানের উপর জীবনের উন্নতি নির্ভর করে। সদ্য স্নাতক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ গঠনের কাজে দায়বদ্ধতা পালন করলেই একুশ শতকে ভারতের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।”