সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের ভোট সামনে। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে শোনা গেল বিতর্কিত শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ। এবার প্রধানমন্ত্রী শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণে। মোদি অভিযোগ করলেন, কংগ্রেসের জন্যই হাজার হাজার শিখকে বেঘোরে মরতে হয়েছে। কংগ্রেসের জন্যই আজও দাঙ্গার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে পাঞ্জাবকে।
দিন কয়েক আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সংসদের দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশে গণতন্ত্র থাকত না। অভিযোগ করেছিলেন, আজ কংগ্রেস কেন্দ্রে নেই, তাই মোদি সরকার রাজার মতো শাসন করছে। রাহুলের সেই কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মোদি বললেন,”কংগ্রেস না থাকলে…! কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশের গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্রের ছায়া মুক্ত হত। কংগ্রেস (Congress) না থাকলে আজ জাতীয়তাবাদের দিকে এগোতো দেশ। কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশের বুকে জরুরি অবস্থার কালো দাগ থাকত না।”
[আরও পড়ুন: PM CARES-এ জমা ১১ হাজার কোটি টাকা, খরচ মাত্র ৪ হাজার কোটি! ফের তোপের মুখে কেন্দ্র]
এরপরই মোদি চলে আসেন শিখ দাঙ্গা (Shikh Riots), এবং কাশ্মীরি পণ্ডিত নিধন ইস্যুতে। বলেন,”আজ কংগ্রেস না থাকলে শিখদের গণহত্যা হত না। পাঞ্জাবকে বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের জ্বালা বয়ে বেড়াতে হত না।” পাঞ্জাবের ভোটের ঠিক আগে আগে মোদির এই শিখ দাঙ্গা স্মরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ৩৭ বছর পরেও শিখ দাঙ্গার কালো দাগ মুছতে পারেনি কংগ্রেস। চুরাশির সেই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই পাঞ্জাববাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। ক্ষমা চেয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi)। রাহুল গান্ধীও এ প্রসঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘অব কি বার অখিলেশ ৩০০ পার’, সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নয়া স্লোগান মমতার]
বস্তুত, কংগ্রেস নেতারা যতই ক্ষমা চান, শিখ দাঙ্গা কংগ্রেসের ইতিহাসে কালো দাগ হিসাবেই চিহ্নিত থাকবে। যদিও তাতে পাঞ্জাবের ভোটে কংগ্রেসের পারফরম্যান্সে খুব একটা প্রভাব পড়ে না। চুরাশির সেই দাঙ্গার পরও একাধিকবার পাঞ্জাবে জিতেছে কংগ্রেস। এখন দেখার মোদির নতুন করে শিখ দাঙ্গা প্রসঙ্গে সংসদে তোলাটা, আদৌ কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা।