সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের নির্বাচনে বিপুল ভোট জয়লাভ করেছেন কিয়ের স্টার্মার। তাঁর দল লেবার পার্টির কাছে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। এই ভোটে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য স্টার্মারকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি আগামিদিনের জন্য বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাক ও তাঁর পরিবারকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নমো।
১৪ বছর পর টোরি শাসনের অবসান ঘটেছে ব্রিটেনে। প্রত্যাশা মতোই সুনাকের দলকে ধরাশায়ী করে প্রধানমন্ত্রী আসন দখল করেছেন স্টার্মার। আগামিদিনে ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়ে স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য কিয়ের স্টার্মারকে অভিনন্দন। ভারত-ব্রিটেন দুদেশের পারস্পরিক সমৃদ্ধি, বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে আমরা আগ্রহী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার জন্য ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি আমরা।'
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ নির্বাচনে টানা চারবার জয়! চমক শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপের]
ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সুনাকের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন নমো। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাকের জন্য তিনি লেখেন, 'ব্রিটেনকে প্রশংসনীয় নেতৃত্বদানের জন্য ঋষি সুনাককে ধন্যবাদ। ভারত-ব্রিটেন মজবুত বন্ধুত্ব বজায় রাখতে আপনার সক্রিয় অবদানের জন্যও ধন্যবাদ। ভবিষ্যতের জন্য আপনা এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা করি আমরা।' ব্রিটেনের এই রাজনৈতিক রদবদলে কোন খাতে বইবে দিল্লি-লন্ডন সম্পর্ক? কাটবে কি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জট?
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে স্টার্মারের বিদেশনীতির প্রধান বিষয় হবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। যার জট সুনাকও খুলতে পারেননি। ব্রিটিশ রাজনীতির এই রদবদলে ভারতের নজর রয়েছে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে লেবার পার্টির অবস্থানের দিকেও। তবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করার জন্য স্টার্মার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পথ প্রশস্ত করার উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ নানা ক্ষেত্রে দিল্লির সঙ্গে একযোগে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে, মোদির মতোই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারাও। তালিকায় রয়েছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবেনিজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সনও। প্রত্যেকেই আগামিদিনে ব্রিটেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন।