সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে রেকর্ড গড়েছে বিজেপি (BJP)। টানা সপ্তমবারের জন্য তাদের মসনদে বসা নিশ্চিত। যদিও হিমাচলে হারতে হয়েছে কংগ্রেসের কাছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি গুজরাটের (Gujarat) মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন হিমাচলের পরাজয়ের পরও কেন্দ্র একই ভাবে সেই রাজ্যের পাশে থাকবে।
এদিন গুজরাটের জয় নিয়ে কার্যতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন মোদি (PM Modi)। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”সবচেয়ে আগে জনতা জনার্দনের সামনে নতজানু হতে চাই। জনতার এই আশীর্বাদে আমি অভিভূত। জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে কার্যকর্তারা যা পরিশ্রম করেছিলেন, তারই সুগন্ধ চতুর্দিকে অনুভব করছি।” সেই সঙ্গে নাম না করেও কংগ্রেসকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ”বিজেপির বাড়তে থাকা জনসমর্থন থেকে পরিষ্কার, পরিবারবাদ ও ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। একটা সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য এটা খুবই ভাল লক্ষণ বলে আমি মনে করি।” এই ফল আগামীর বার্তাবহ বলেও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে বিরোধিতা সামলেও গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী জাদেজার স্ত্রী]
প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, দেশের স্বার্থে বিজেপি বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর একথা তিনি বলার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের সামনে থেকে স্লোগান উঠতে থাকে ”মোদি মোদি।” যা বুঝিয়ে দেয় গুজরাটকে কেন মোদিরাজ্য বলে। গুজরাটের বিপুল জনসমর্থন ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতিবিম্ব বলেই মত মোদির। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই সমর্থনের পিছনে সিংহভাগই যুব সম্প্রদায়ের। পাশাপাশি দরিদ্র, দলিত, আদিবাসীদের জনসমর্থনও গেরুয়া শিবিরই পেয়েছে বলে জানান মোদি। এদিকে হিমাচলের জয় নিয়ে মোদির মত, বেশির ভাগ আসনে ১ শতাংশের ব্যবধানে হার-জিত নির্ধারিত হয়েছে। তবে এখানে হারতে হলেও হিমাচলবাসীর প্রতি কেন্দ্রের দায়বদ্ধতা যে কমবে না তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে এদিন মোদির পাশাপাশি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও ওই সভায় গুজরাটের পাশাপাশি হিমাচলের কার্যকর্তাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন। তাঁর দাবি,এই জয় মোদির বিকাশ, সুরক্ষা ও সুশাসনের প্রতি জনতা জনার্দনের অপার ভরসার অভিব্যক্তি।