সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার তিন রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা এদিন ফোন পেলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এই নিয়ে গত দশদিনে মোট ১৮ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপালের সঙ্গে কথা হল মোদির। অথচ, এখনও মোদির কাছ থেকে ফোন পেলেন না এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে ফোন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath)। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, টিকা, অক্সিজেনের সরবরাহ সম্পর্কে খোঁজ নেন মোদি। এরপর একে একে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং পুদুচেরির নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এনআর রঙ্গস্বামী প্রধানমন্ত্রীর ফোন পান। প্রত্যেকের কাছেই রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত ৮ মে একযোগে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন ফোন পেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন (M K Stalin), বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। এই নিয়ে গত ১০ দিনে ১৮ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ফোনে তিনি কথা বলেছেন, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপালের সঙ্গেও। তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও আশ্বাসসূচক ফোন পাননি। অর্থাৎ দেশের বেশিরভাগ রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেও বাংলার মতো ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্যকে ততটা গুরুত্ব তিনি দিচ্ছেন না।
[আরও পড়ুন: ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ, দেশে একদিনে করোনাজয়ী সাড়ে তিন লক্ষের বেশি]
এই মুহূর্তে হাতের বাইরে দেশের করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতি। প্রতিদিন মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার করোনা রোগীর। এর দায় অনেকাংশেই বর্তেছে কেন্দ্রের উপর। যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন মমতা। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর থেকেই একের পর এক পত্রবাণে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কখনও অক্সিজেনের দাবি, কখনও বিনামূল্যে টিকাকরণের দাবি, কখনও আবার চিকিৎসা সামগ্রীতে জিএসটি মকুবের দাবি। মমতার একের পর এক প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মোদি এখনও দেননি। উত্তর আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠিগুলির। এবার ফোন করার ক্ষেত্রেও এরাজ্যকে ব্রাত্যই রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।