সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোন মহামারীর তাণ্ডবের মধ্যেই তৈরি হল নতুন ইতিহাস। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রথম চালকবিহীন পুরোপুরি অটোমেটিক ট্রেনের পথচলার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এর ফলে বিশ্বের সেই সাত শতাংশ মেট্রো নেটওয়ার্কের এলিট গ্রুপের মধ্যে দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও ঢুকে পড়ল যারা চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে।
সোমবার সকালে নয়াদিল্লির মাজেন্টা লাইনে এই পরিষেবার সূচনা করে ভারত ক্রমশ উন্নতির পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে কীভাবে দ্রুতগতিতে ভারত একটি আধুনিক ও স্মার্ট জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে দিল্লি মেট্রোতে ন্যাশনাল কমন মবিলিট কার্ড (NCMC) -এরও ব্যবহার হবে। কিন্তু, কয়েক বছর আগেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হত না। কিন্তু, এখন আমরা দেশজুড়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের সুফল অনুভব করছি। আমাদের সরকারই এই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। চালকবিহীন (driver less) ট্রেনের পাশাপাশি দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ যে এনসিএমসি কার্ড চালু করেছে তা এক দেশ, এক কার্ড নীতির ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে। এই কার্ড দিয়ে একজন মানুষ বাসের ভাড়া, পার্কিং চার্জ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার নেওয়ার পাশাপাশি টাকাও তুলতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতির জের, নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে ভরতি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ]
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করার জন্য মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির বাস্তবায়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে খরচ কমার পাশাপাশি বিদেশি টাকাও বাঁচবে আবার ভারতীয় নাগরিকদের কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগও আসবে।’
ভারতের মেট্রো রেলের সূচনার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীরও আজ ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ‘অটলজির উদ্যোগেই দিল্লিতে প্রথম মেট্রো চালু হয়েছিল। আর ২০১৪ সালে আমাদের সরকার যখন গঠন হয় তখন সারা দেশে মাত্র পাঁচটি শহরে মেট্রো রেল চালু ছিল। আজ ১৮টি শহরে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা ২৫টির বেশি শহরে এই পরিষেবা চালু করব।’