সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের একাধিক রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি দেখে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর (PMO)। জানিয়ে দেওয়া হল, যে সমস্ত রাজ্যে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেখানে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বিশেষ ক্যাম্পেন। এদিকে, সপ্তাহান্তে গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার।
রবিবার দিল্লিতে ক্যাবিনেট সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটরি, স্বাস্থ্যসচিব-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিককে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন মোদি (PM Modi)। সেখানেই তাঁর সামনে দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির ছবিটা তুলে ধরা হয়। টিকাকরণ সংক্রান্ত তথ্যও দেওয়া হয়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে বিশেষ ক্যাম্পেন শুরু হবে। যা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। যে সব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে সেখানকার জনতাকে সচেতন করতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসচেতন থাকার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক করা হবে এই বিশেষ ক্যাম্পেনে। এদিকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ে করোনায় কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তার সঠিক তথ্য জানতে কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ দল পাঠানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফাঁদে ফেলেই কি জওয়ানদের হত্যা করল মাওবাদীরা? বিজাপুর সংঘর্ষ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]
এদিনের বৈঠকে কনটেনমেন্ট জোনের উপর বিশেষ নজর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার (Corona virus) নয়া ঢেউ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সজাগ করতে স্থানীয় ভলান্টিয়ারদের কাজে নামারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে মোদির মুখে শোনা যায় ‘ফাইভ-ফোল্ড স্ট্র্যাটেজি’র কথা। টেস্টিং, ট্রেসিং, চিকিৎসা, কোভিড প্রোটোকল পালন এবং টিকাকরণ। প্রত্যেকটি বিষয় কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যে কারণে নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটল উদ্ধব সরকার। জানানো হল, শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। পাশাপাশি সোমবার থেকে গোটা রাজ্যে রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইট কারফিউর কথাও ঘোষণা করা হল। এই সময় অত্যাবশকীয় পরিষেবা অবশ্য মিলবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বড় কোনও শুটিংয়েরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।