স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: কাজ, কাজ আর কাজ। দেশের বিকাশের জন্য প্রত্যেক মন্ত্রককে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। নতুন যাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের খুব ভালভাবে তৈরি হয়ে আসতে হবে সংসদে (Parliament)। বিরোধীদের প্রশ্নবাণের সামনে যাতে কোনওভাবেই দুর্বল হয়ে না পড়েন কেউ, সেদিকে দিতে হবে কড়া নজর। খুব জরুরি কাজ না থাকলে সংসদে উপস্থিত থাকতেই হবে। রুটিন দায়িত্ব থাকলে লোকসভায় আসতে হবে, নাহলে বেশিরভাগ সময় উচ্চকক্ষের বিতর্ক ও আলোচনায় উপস্থিত থেকে শিখতে হবে কাজ। বাদল অধিবেশন শুরুর আগে মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যদের এইসব গুরুমন্ত্রই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
একদিকে বিভিন্ন দাবিতে সরকারকে আক্রমণ করতে তৈরি হচ্ছে কংগ্রেস-সহ (Congress) অন্যান্য বিরোধী দল। যার মধ্যে থাকার কথা পেট্রোপণ্য-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, কোভিড নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা, টিকা অপ্রতুলতা, রাফালে তদন্ত, তিন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক বিক্ষোভ, সীমান্ত সংঘাত, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের স্বীকৃতি ফেরানো-সহ নানা ইস্যু। তার আগে নিজেদের হোমওয়ার্কও করে রাখলেন মোদি। এবারের
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, রাজ্যসভায় BJP’র দলনেতা হলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল]
মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ প্রচুর। দায়িত্ব পাওয়ার পক্ষকাল শেষের আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অধিবেশন। কিছুতেই যাতে নতুন মন্ত্রীরা টেনশনে না পড়ে যান অথবা তাঁদের অনভিজ্ঞতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা যাতে সরকারকে কোণঠাসা করে দিতে না পারে, তার জন্য কার্যত ‘ক্র্যাশ কোর্স’ করালেন প্রধানমন্ত্রী। লিখিত ও মৌখিক প্রশ্নের উত্তরে সরকারের তরফ থেকে যাতে ইতিবাচক, পয়েন্টভিত্তিক বিস্তারিত এবং গুণগত দিক থেকে উৎকৃষ্ট বিবৃতি দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে মন্ত্রীদের। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীদের বলা হয়েছে, তাঁদের রাষ্ট্রমন্ত্রীদের ভালভাবে শিখিয়ে-পড়িয়ে নিতে। টিম স্পিরিট দেখানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি রাষ্ট্রমন্ত্রীরা কোনও ভুলভ্রান্তি করে ফেলেন, তাহলে কিছুতেই নিজেদের দায় এড়াতে পারবেন না পূর্ণমন্ত্রীরা। তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন মোদি। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার রদবদলের পরই প্রত্যেক মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত দিল্লিতে থেকে নিজেদের মন্ত্রকের কাজে গতি আনতে। এবার সংসদে মন্ত্রীদের কী কী করতে হবে, সেই পথ দেখালেন। বৈঠকের শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশন দেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। প্রধানমন্ত্রী প্রায় কুড়ি মিনিট বক্তব্য রাখেন। যার একটি বড় অংশ ছিল সংসদে কাজের নিয়মনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে।