সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার নাম। ‘মন কি বাত’-এ অনুষ্ঠানে বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর কথায় উঠে এল ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের কথাও।
রবিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান। সেখানেই ত্রিবেণীর কুম্ভস্নান নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা নিবাসী এক ভারতীয় পঞ্চম বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে বাংলার কুম্ভস্নানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি জানান, বহু পুরনো বাংলার এই কুম্ভস্নান। কিন্তু ৭০০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে ছিল এই রীতি।
[আরও পড়ুন: মার্চের শুরুতেই রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ৩৫ ডিগ্রি! আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস]
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ, “স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এই কুম্ভস্নান ফের শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র দু’বছর আগে স্থানীয় মানুষ ও কুম্ভস্নান পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে এই উৎসব আবার শুরু হয়। ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানকে কেন্দ্র করে বাংলার প্রচুর রীতিনীতি, সংস্কৃতি উঠে এসেছে।” বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) ইকনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের তরফে ‘বিদ্যালয়ে বুনিয়াদি শিক্ষা এবং গাণিতিক সাক্ষরতা’র (ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসি ইনডেক্স, ২০২২) উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্সটিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস, স্ট্যানফোর্ড-এর সঙ্গে মিলিতভাবে সমীক্ষাটি মূলত সারা ভারতের শিক্ষাসংক্রান্ত উন্নয়নের স্কোরকার্ড। পিএমও-র এই রিপোর্টের পর মন কি বাতে বাংলার সংস্কৃতির প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: অব্যাহত রোনাল্ডো ম্যাজিক, সৌদির হয়ে হ্যাটট্রিক করে বিরল রেকর্ডের মালিক CR7]
এদিনের ‘মন কি বাতে’ ভারতের টেলি মেডিসিন অ্যাপের কথাও তুলে ধরেন মোদি। তাঁর কথায়, টেলি মেডিসিন প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা ও মধ্যবিত্তকে সাহায্য করছে। তাদের সময় ও অর্থব্যয় কম হচ্ছে।