সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন পরে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গত প্রায় ২ বছরে কেবল বাংলাদেশ ছাড়া দেশের বাইরে আর কোথাও পা রাখেননি মোদি। অবশেষে এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন ও কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন (US) সফরে গিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ বিমানযাত্রার একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মন দিয়ে ফাইলে ডুবে থাকতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ছবি।
ছবিতে দেখা গিয়েছে ফাইল ওয়ার্কে মগ্ন প্রধানমন্ত্রীকে। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ”দীর্ঘ বিমানযাত্রা মানেই কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখা ও কিছু ফাইল ওয়ার্কও সেরে নেওয়া।” কর্মব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর এই ছবি দেখে রেলমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ”অক্লান্ত ভাবে দেশের সেবায় নিরন্তর নিয়োজিত।” এদিকে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীরও একই রকম ভাবে বিমানে বসে কাজ করার একটি ছবি শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ”ভারত মায়ের সন্তান।”
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র]
কিন্তু বিজেপি নেতা ও অনুরাগীরা মোদির ছবিটি ঘিরে উচ্ছ্বসিত হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মোদির ছবির কমেন্ট বক্সে এসে ট্রোল করেছেন। কেউ একে ‘মার্কেটিং’ কৌশল বলে কটাক্ষ করেছেন। আবার কেউ লিখেছেন, কাজের উপরে আলো পড়ায় সব বোঝা যাচ্ছে না। কেন আলো অ্যাডজাস্ট না করে ছবি তোলা হল? এমন ভাবেই কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে কটাক্ষে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মোদির মার্কিন সফর। ঠাসা কর্মসূচিতে একে একে তিনি সাক্ষাৎ করবেন কোয়ালকম সিইও ক্রিস্টিয়ানো আর আমন, অ্যাডব চেয়ারম্যান শান্তুনু নারায়েন, ফার্স্ট সোলার সিইও মার্ক উইডমার, জেনারেল অ্যাটমিকস সিইও বিবেক লাল, ব্ল্যাকস্টোন সিইও স্টিফেন এ সোয়ার্জম্যানের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে ভারতের বর্তমান শিল্প ও বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, আমেরিকার নতুন সরকারের আমলে মোদির প্রথম সফরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রয়াস থাকবে।
২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে বৈঠক রয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। ওইদিনই এরপর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) মুখোমুখী হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বাইডেন ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই মোদির এই সফর।