সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে গোধরা প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। বিহারের দ্বারভাঙায় এক জনসভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে তোপ দাগলেন তিনি। দাবি করলেন, সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়েছিল যারা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন লালু।
কেন এমনটা করতে চেয়েছিলেন আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা? মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''তিনি এসব করেছেন তোষণের রাজনীতি করার জন্য। বিহারের শাহজাদার (তেজস্বী যাদব) বাবা গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় দোষীদের বাঁচাতে চেষ্টা করেছিলেন। উনি নিজেও দোষী (পশুখাদ্য মামলা)। সেই সময় ছিলেন রেলমন্ত্রী। তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠা করে একটা রিপোর্টও পেশ করেছিলেন। যেখানে ওই ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের নির্দোষ বলা হয়েছিল। কিন্তু আদালত সেই রিপোর্ট ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।''
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের (Sabarmati Express) এস সিক্স কামরায় অগ্নিকাণ্ডে ৬০ জনের মৃত্যু হয়। এদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে তারা ওই ঘটনার শিকার হন। অভিযোগ ছিল যে, গোধরার সে দিনের ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবে ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা। ট্রেনের ওই কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল। এবং ট্রেনটি লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কুরসি পেয়েও মনমোহনকে দিয়ে দেন সোনিয়া! আত্মত্যাগ নাকি রাজনৈতিক চাল?]
দাঙ্গার আবহে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকার বেশ কিছু অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ২০১১ সালে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করে বিশেষ সিট আদালত। গোধরা মামলার শুনানি শেষ হয় ২০১৫ সালে। দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৩১ জনকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। দোষী সাব্যস্ত ৩১ জনের মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বাকিদের আজীবন কারাবাসের সাজা হয়। তবে ওই ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডও ২০১৭ সালে রদ করে দেওয়া হয়।