shono
Advertisement

৪০ আসনও পাবে না! কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে মমতাই ‘হাতিয়ার’ মোদির

বাংলায় জোট-জটে নাজেহাল কংগ্রেস। ইন্ডিয়ার 'শরিক' তৃণমূল দুয়ের বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয় হাত শিবিরকে। আর সেই এবার 'কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে' দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টেনে আনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কংগ্রেস দেশে ৪০ আসন জিততে পারবে কি না' কটাক্ষ প্রসঙ্গও।
Posted: 02:43 PM Feb 07, 2024Updated: 08:32 PM Feb 07, 2024

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় জোট-জটে নাজেহাল কংগ্রেস। ইন্ডিয়ার ‘শরিক’ তৃণমূল দুয়ের বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয় হাত শিবিরকে। আর সেই এবার ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। টেনে আনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কংগ্রেস দেশে ৪০ আসন জিততে পারবে কি না’ কটাক্ষ প্রসঙ্গও। মমতার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেসকে ‘খোঁচা’ দিলেন মোদি।

Advertisement

আসনরফা প্রসঙ্গে শতাব্দিপ্রাচীন দলটিকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, “কংগ্রেস, তুমি ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না, সারা ভারতে ৩০০টা আসনে লড়াই করে।” এদিন কংগ্রেসকে তুলোধোনা করতে বিরোধী ঐক্যের অন্যতম মুখ মমতার সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ সূচক জবাবি ভাষণ রাখেন তিনি। সেখানেই মোদির খোঁচা, “বাংলায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। বলা হচ্ছে, গোটা দেশে তারা ৪০ আসন পাবে কি না!” এর পরই তাঁর ‘প্রার্থনা’, “আমি প্রার্থনা করি যাতে তারা (কংগ্রেস) ৪০টি আসন ধরে রাখতে পারে।” এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দলটা (কংগ্রেস) চিন্তাভাবনাও সেকেল হয়ে গিয়েছে। যখন ভাবনাচিন্তা পুরনো হয়ে গিয়েছে, তখন দলটি তাদের কাজকর্মও আউটসোর্স করে দিয়েছে। এতো বড় দল, এতো বছর দেশে রাজত্ব করেছে. তাদের এই পরিণতি! এতো অবনতি! এটা দেখে আমার একটুও আনন্দ হচ্ছে না। আপনাদের জন্য আমার সমবেদনা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক কী করবে, যখন রোগী…. আর কী বলি!” সবমিলিয়ে লোকসভার পর রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণেও কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ, গরম ডাল ঢেলে সপ্তাহভর শারীরিক অত্যাচার ‘বন্ধু’র!]

উল্লেখ্য, বাংলায় একলা চলোর ডাক দিলেও ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে তৃণমূল, একথা আগেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উলটোদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূল সরকারকে বারবার আক্রমণ করলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়নি। বরং বলে এসেছেন, তারা এখনও জোটে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা জোট শরিক বলেই দাবি করেছেন। কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক ‘দৈন্যতা’-কেই বারবার দেশের সামনে আনার চেষ্টা করলেন মোদি, অভিমত রাজনৈতিক মহলের।  

রাজনৈতিক মহলের দাবি, সংসদ ভবনের ভাষণ থেকে কংগ্রেসকে মোদির নিশানা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। অথচ সেই জোটের অন্দরের শরিকি বিবাদ, ফাঁকফোকর গোটা দেশের সামনে বারবার তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন মোদি। বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, বিজেপির ‘বিকল্প’ ইন্ডিয়া জোটের অন্দরেই বিশ্বাসের বাতাবরণ নেই। শরিকরা অন্তর্কলহেই ব্যস্ত। বিশেষ করে জোটের উদ্যোক্তা কংগ্রেসের সঙ্গে শরিকদের বনিবনা নেই! বরং শতাব্দিপ্রাচীন দলটি কার্যত বিলুপ্তির পথে। ফলে তার সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ার স্বপ্ন আসলে সোনার পাথর বাটি!  

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে সচেতন করেছেন। যাতে তারা ভালোভাবে লড়াই করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন। দুটো সুর একেবারেই এক নয়।

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় নাবালিকাদের দিয়ে ম্যাসাজের টোপ দিয়ে মধুচক্র! পুলিশের জালে ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement