সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) নাম নিশ্চিত হতেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঋষির ‘পদোন্নতিতে’ ভারত আশা করতেই পারে যে ব্রিটেনের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক আরও ভাল হবে। তবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির কবে সাক্ষাৎ হচ্ছে, সে নিয়ে জল্পনা চলছিল কূটনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে G20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানেই প্রথমবারের জন্য দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হতে পারেন। গতবছরই জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী ১৫-১৬ নভেম্বর বালিতে আয়োজিত হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানেই মোদি এবং ঋষি মুখোমুখি হতে পারেন।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে বেনজির, প্রথমবার সিলেবাস, মডেল প্রশ্নপত্র-সহ গাইডলাইন প্রকাশ পর্ষদের]
এদিকে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের মুক্ত বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল দীপাবলির আগে। তবে ব্রিটেনের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। তবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হয়ে সেই বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টিকে ফের ট্র্যাকে ফেরাতে উদ্যত হতে পারেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন খাতে ভারত-ব্রিটিশ পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও মজবুত করার লক্ষ্যে মোদি-ঋষি পথ নির্ধারণ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ প্রথা মেনে মঙ্গলবার সুনাককে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেন রাজা তৃতীয় চার্লস (Rishi Sunak)। বাকিংহ্যাম প্যালেসে রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন ঋষি। তারপরই সরকারি ভাবে ঋষির হাতে মন্ত্রিসভা গঠনের ভার তুলে দেন রাজা। সোমবারই ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষির নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলাকেই মূল লক্ষ্য করে এগোতে চান ঋষি। এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই কথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ঋষি জানিয়েছেন, “কোভিডের সময়ে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন। একইভাবে দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি দিন রাত পরিশ্রম করব।”