সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে মিশর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে একাদশ শতকের আল হাকিম মসজিদ পরিদর্শন করবেন তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসির আমন্ত্রণে দু’দিনের এই সফর নমোর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গুজরাটের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের দানের টাকায় কায়রোর আল হাকিম মসজিদটির সংস্কার হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ইসলাম ধর্মাবলম্বী এই সম্প্রদায়ের প্রভাব ও প্রতিপত্তি গুজরাটে যথেষ্ট। ফলে অনেকেই মনে করছেন, মূলত বণিক দাউদি বোহরাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ। ২৪ জুন থেকে শুরু হতে চলা সফরে হিলিওপলিস যুদ্ধের সমাধিস্থলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সমাহিত ভারতীয় সৈনিকদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভিয়েতনামকে রণতরী দিল ভারত, সাগর-সংগ্রামে চিনকে কোণঠাসা করার ছক!]
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশর যাচ্ছেন। আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সেখানকার শীর্য মন্ত্রী তথা আমলাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্ক কীভাবে মজবুত করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, ইজিপ্টে বহু ভারতীয়র বাস রয়েছে।
এই বিষয়ে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াতরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে দু’দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব মিশরে গিয়েছিলেন। একইভাবে সে দেশেরও মন্ত্রীরা ভারত সফরে এসেছেন। ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে মিশরকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি সাক্ষরিত হতে পারে। নমোর এই ঝটিকা সফরে ছ’মাসের মধ্যে আল-সিসিরও ভারতে আসতে পারেন। সবশেষে কোয়াতরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুধু যে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করবে তা নয়, বাণিজ্যিক ও আর্থিক ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটাবে।