সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার ১১ দিন পর অবশেষে ওয়ানাড়ের পরিস্থিতি আকাশপথে ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়ানড়ের পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
গত ৩০ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ ধস নামে ওয়েনড়ের পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামে দেশের তিন সেনা। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৪০০-র বেশি মানুষের। শুক্রবার ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ শেষ করে ফিরে গিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং ডগ স্কোয়াড। তার পরের দিন অবশেষে ওয়ানড়ে পৌঁছলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সকাল এগারোটা নাগাদ বিশেষ বিমানে কান্নুর পৌঁছন মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন মোদি।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরে ‘মকুব’ ৯.৯ লক্ষ কোটির অনাদায়ী ঋণ! তবু আশার কথা শোনাল কেন্দ্র]
মোদির সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কেন্দ্রীয় পর্যটন, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ গোপী। মুণ্ডাক্কাই, পাঞ্চিরিমাট্টমের উপর দিয়ে ঘুরে বেড়ায় মোদির কপ্টার। এর পর প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাসের ত্রাণশিবিরে যান তিনি। কথা বলেন দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। সেখান থেকে হয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: টার্গেট মধ্যবয়সী মহিলারা, যৌনতায় রাজি না হলেই খুন! ১৩ মাসে ৯ খুনে ধৃত সিরিয়াল কিলার]
বিরোধীরা সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ওয়ানড় সফর নিয়ে দাবি তোলার পরই কেরল যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এদিন মোদির সফরের পর এক্স হ্যান্ডলে তা নিয়ে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘ধন্যবাদ মোদিজি কেরলের ওয়ানড়ে ব্যক্তিগতভাবে সফর করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখার পর নিশ্চয়ই এটিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হবে।’ উল্লেখ্য দুর্ঘটনার পরেই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা সেখানে দুদিন ছিলেনও।