shono
Advertisement

Breaking News

‘মোদি কাউকে ছাড়বেন না’, তাওয়াংয়ে চিনা আগ্রাসন প্রসঙ্গে বেজিংকে হুঁশিয়ারি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের

'ভারতীয় সেনার উপরে আমাদের বিপুল আস্থা', বলছেন মনেস্ট্রির সন্ন্যাসীরা।
Posted: 11:13 AM Dec 21, 2022Updated: 11:13 AM Dec 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাওয়াংয়ে (Tawang) চিনের (China) রক্তচক্ষুতে উদ্বিগ্ন দেশ। কয়েকদিন আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকাটিতে লালফৌজের আগ্রাসন রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে বেজিংকে সতর্ক করছেন সেখানকার মনেস্ট্রির বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। ভারতের ভূখণ্ডের দিকে নজর দিলে তার ফল যে ভাল হবে না সেকথা মনে করিয়ে তাঁদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ”প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) কাউকে ছাড়বেন না।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, মনেস্ট্রির এক সন্ন্যাসী, যাঁর নাম ইয়েশি খাওয়ো, তিনি বলেছেন, ”আমরা ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ সমর্থন করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি কাউকে ছাড়বেন না। চিনা সরকার বরাবরই অন্য দেশের ভূখণ্ড দখল করতে চায়। এটা একেবারেই অন্যায় কাজ। ওরা ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকেও নজর দিচ্ছে। ওরা যদি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে এমন কাজ ওদের করা উচিত নয়।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ”ভারতীয় সরকার ও ভারতীয় সেনার উপরে আমাদের বিপুল আস্থা। ওরা তাওয়াংকে সুরক্ষিত রেখেছে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে মনেস্ট্রির সন্ন্যাসীরা ভারতীয় সেনাকেই সাহায্য করেছিল। চিন যতই বলুক তাওয়াং তিব্বতের অংশ, তাওয়ার ভারতীয় ভঊখণ্ডের অপরিহার্য অঙ্গ।”

[আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! আতঙ্কে কাঁটা মন্দিরের ভক্তরা, দেখুন ভিডিও]

এদিকে গত ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সেক্টরে ঘটা সংঘাত নিয়ে গুজবের বাজার গরম। অনেকেই বলছেন মৃতের সংখ্যা গোপন করছে দুই দেশ। এই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা জানিয়ে দিয়েছেন, “আপনারা গুজবে কান দেবেন না। সংঘাতে দুই দেশের কয়েকজন জওয়ান সামান্য আহত হয়েছেন। বুমলায় প্রোটোকল মেনে স্থানীয় কমান্ডাররা আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ভারতের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পেশাদার। অরুণাচল সুরক্ষিত। ভয়ের কিছু নেই।”

সীমান্তে কতটা প্রস্তুত ভারতীয় ফৌজ, তা জিজ্ঞাসা করা হলে কলিতা আরও বলেন, “শান্তি হোক বা যুদ্ধ, দেশের সুরক্ষায় সেনা সবসময় তৈরি। দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। গত ১০ থেকে ১৫ বছরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে মজবুত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। হেলিপ্যাড, বিমানবন্দর, সড়ক ও সেতু তৈরি করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছি’, ভারত জোড়ো যাত্রায় বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement