সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার দুপুরে ধ্যান শেষ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। ৪৫ ঘণ্টার সাধনা শেষে তিনি পুষ্পস্তবক প্রদান করেন তামিল সন্ত কবি থিরুভাল্লুভারের বিশাল মূর্তিতে। আর তার পর ভিজিটার্স বুকে তাঁকে লিখতে দেখা যায়, 'মা ভারতীর পায়ের কাছে বসে আজ আমি আরও একবার আমার সংকল্পটি পুনর্ব্যক্ত করলাম যে আমার জীবন এবং আমার শরীরের প্রতিটি কণা দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।'
এদিন ধ্যানশেষে মোদি লেখেন, 'ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে আমি এক ঐশ্বরিক ও অসাধারণ শক্তি অনুভব করছি। এই স্মৃতিসৌধে দেবী পার্বতী ও স্বামী বিবেকানন্দ তপস্যা করেছিলেন। পরে একনাথ রানাডে এই স্থানটিকে একটি স্মারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্বামী বিবেকানন্দের ধারণাকে জীবন্ত করে তোলেন।'
[আরও পড়ুন: ‘তিনশো পার করবে ইন্ডিয়া’, হুইলচেয়ারে ভোট দিয়ে হুঙ্কার তেজস্বীর]
সেই সঙ্গেই স্বামী বিবেকানন্দকে (Swami Vivekananda) নিয়ে আবেগমথিত মন্তব্যও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি লিখেছেন, 'আধ্যাত্মিক নবজাগরণের অগ্রদূত স্বামী বিবেকানন্দ আমার অনুপ্রেরণা, আমার শক্তির উৎস এবং আমার অনুশীলনের ভিত্তি। গোটা দেশ ঘুরে আসার পর স্বামীজি এখানেই বসে ধ্যান করেছিলেন। তিনি ভারতের পুনরুজ্জীবনের এক নতুন দিকনির্দেশনা লাভ করেছিলেন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, আজ এত বছর পর স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও আদর্শ যেমন তাঁর স্বপ্নের ভারতকে রূপ দিচ্ছে, আমিও এই পবিত্র স্থানে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি।'
সেই সঙ্গেই তিনি জানান, 'বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে (Vivekananda Rock Memorial) এই অনুশীলনটি আমার জীবনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি। মা ভারতীর পায়ের কাছে বসে আমি আজ আবারও আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি যে আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এবং আমার শরীরের প্রতিটি কণা সর্বদা জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে।'
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান শেষ করে মোদি ধ্যানমণ্ডপম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তার পরে মাল্যদান করেন তামিল কবি ও দার্শনিক থিরুভাল্লুভারের বিশাল মূর্তিতে। এদিনই প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ফিরবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।