সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সুবিদিত। নিন্দুকেরা বলেন, মোদির সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্যই ফুলে ফেঁপে উঠছে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি। তাতে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ নেই রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধারের। অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পদক্ষেপগুলির ভূয়সী প্রশংসা করলেন আম্বানি। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে এই পদক্ষেপগুলির সৌজন্যে। আম্বানির (Mukesh Ambani) গলায় মোদির প্রশংসা নতুন কিছু নয়। তবে, এবারে তিনি যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর খোলাখুলি এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন, সেই নজির হয়তো আগে দেখা যায়নি।
শনিবার গুজরাটের পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মুকেশ আম্বানি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই মুহূর্তে ভারত স্থিতিশীল জায়গায় রয়েছে। নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ‘ভিশনে’র দৃষ্টান্ত তুলে ধরে আম্বানি বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রথম বসার সময় থেকেই এই প্রকল্পটির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এনার্জি, এনার্জি এডুকেশান, গবেষণা, উদ্ভাবন, সমস্ত বিষয়েই ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে সেই চিন্তাশক্তির কারণেই। রিলায়েন্স (Reliance) গোষ্ঠীর কর্ণধার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহসী সংস্কারগুলিই অর্থনীতিকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে। এবং আগামী দিনে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের রাস্তা খুলে দিচ্ছে।” আম্বানির মতে, “মোদির আবেগআপ্লুত এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের জন্যই আজ গোটা বিশ্ব ভারতের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।”
[আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারে টাটা-বিড়লারা, জল্পনা আম্বানিকে নিয়ে]
পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে র্যাঙ্কিংয়ে ভারতে প্রথম ২৫-এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই ইনস্টিটিউশন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোরও প্রশংসা করেন আম্বানি। ভাবী গবেষকদের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, অদূর ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে আমরা কি এমন কোনও শক্তি উৎপাদন করতে পারি যা পরিবেশের ক্ষতি করবে না, আবার দেশকে সব দিক
থেকে একটি সুপার পাওয়ারে পরিণত করবে?