সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশীতে যা উন্নয়ন হয়েছে, তা বাবা বিশ্বনাথের কৃপা। আসলে মহাদেবের আশীর্বাদ থাকলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। সোমবার বারাণসীতে (Varanasi) প্রায় সাতশো কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এমনই ভক্তিমূলক কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মুখে। এদিন ভিডিও বৈঠকের মাধ্যমে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন তিনি। এই প্রকল্পকে কার্যত তাঁর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীকে দিওয়ালির উপহার হিসেবেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার মোট ৩৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী, যার মধ্যে অন্যতম রামনগরে লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালের উন্নয়ন, গো-সংরক্ষণ পরিকাঠামো নির্মাণ, বহুমুখী বীজ সংরক্ষণের স্টোর হাউস, সারনাথ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। এদিন সকলকে দিওয়ালির মরশুমে শুভেচ্ছা জানান মোদি। করোনা কালে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেন তিনি। তবে বিশেষ করে কাশীর উন্নয়নের কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, কাশীর এই উন্নয়ন বাবা বিশ্বনাথের কৃপা। তাঁর মতে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় হাব হয়ে উঠেছে কাশী। পূর্বাঞ্চলের বহু মানুষকে আগে দিল্লিতে যেতে হত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এখন তাঁরা এখানেই পরিষেবা পেয়ে যাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ভোটের ফল বেরলেই বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা, দুই শীর্ষ নেতাকে বিহারে পাঠাল কংগ্রেস]
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘কাশীতে আমি যা চেয়েছি, তা পেয়েছি। তবে আমি নিজের জন্য কিছু চাইনি।’’ দেশীয় সামগ্রী কেনার বিষয়ে এদিনও জোর দিয়েছেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘লোকালের জন্য ভোকাল’ হতে হবে সবাইকে। কেবল দিওয়ালির প্রদীপ কেনাই নয়, যে কোনও ধরনের সামগ্রী কেনার সময়ই প্রাধান্য দিতে হবে দেশীয় নির্মাণকে।
[আরও পড়ুন: অজানা ব্যক্তির নির্দেশে বাবার ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড ছেলের, গায়েব ৯ লক্ষ টাকা]
এদিনের প্রকল্পগুলির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এর ফলে স্থানীয় এলাকায় আর্থিক উন্নতি হবে। বদলে যাবে কাশীর ঘাটের চেনা চেহারা। তিনি আরও বলেন, এতদিন কাশীতে ঝুলন্ত বিদ্যুতের তার ঘিরে নানা সমস্যা দেখা দিত। এখন কাশীর বৃহত্তর অংশই সেই সমস্যা থেকে মুক্ত। এদিনের ভিডিও বৈঠকে বারাণসীর বাসিন্দাদের সঙ্গে সেখানকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।