সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালে পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের উপর হিন্দুত্ববাদ রাজনীতির প্রভাব নিয়ে একটা তথ্য চিত্র তৈরি করেছিলেন পায়েল কাপাডিয়া (Payal Kapadia)। সেই ডকু ফিচারই অন্ধ্রপ্রদেশের মেয়েটির হাতে এনে দিয়েছিল প্রথম কান জয়ের স্বাদ। সেবছর তিনি পান 'গোল্ডেন আই' পুরস্কার। এমনকী ২০১৫ সালে বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহানের FTII-এর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে তাঁর নাম উঠেছিল চার্জশিটে। পুণের ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সেই প্রতিবাদী প্রাক্তনীর বিশ্বজয়ের সাফল্যে এবার প্রশংসা এল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) তরফে।
শনিবার পায়েল কাপাডিয়া (Payal Kapadia)। কান-এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রি সম্মান পেয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন। যাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। এমনকী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াকালীন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অনুদান খোয়ানোর মাশুল গুণেছিলেন, সেই ফিল্ম ইনস্টিটিউটও এবার তাঁর সাফল্যে কৃতীত্বের ভাগ বসিয়েছে! যার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন খোদ আলি ফজলও। সেই পায়েল কাপাডিয়ার প্রশংসা করেই মোদি লিখলেন, "পায়েল কাপাডিয়া 'অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট' ছবি তৈরি করে ৭৭তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গ্র্যান্ড প্রিক্স জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন। তাঁর সাফল্যে ভারত গর্বিত। এফটিআইআই প্রাক্তনী বিশ্বমঞ্চে তাঁর প্রতিভা তুলে ধরে ভারতের সমৃদ্ধ সৃজনশীলতার ঝলক দেখিয়েছেন। এই সম্মান পরিচালক হিসেবে শুধু তাঁর দক্ষতার পরিচয়ই দেয় না, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।"
[আরও পড়ুন: হিন্দি ওয়েব সিরিজের জন্য লুক বদলালেন জিৎ, রয়েছেন প্রসেনজিৎও, ভোট মিটলেই শুটিং!]
পায়েল এবং অনসূয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, পায়েল কাপাডিয়া এবং 'অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট'-এর পুরো টিমকে সম্মানজনক গ্রাঁ প্রি পুরস্কার জেতার জন্য অভিনন্দন। 'দ্য শেমলেস'-এ অভিনয়ের জন্য 'আন সার্টেন রিগার্ড' বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতার জন্য অনসূয়া সেনগুপ্তকেও কুর্নিশ। এই নারীরা ইতিহাস রচনা করেছেন এবং সমগ্র ভারতীয় সিনেজগৎকে অনুপ্রেরণা জোগালেন। এদিকে কান জয়ের পর দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই বঙ্গকন্যা অনসূয়া সেনগুপ্তকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে।