সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ১০ বছর পূর্ণ হল রবিবার। এ দিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানটি আমার কাছে অত্যন্ত আবেগঘন। মন কি বাতের এই যাত্রায় কোটি কোটি শ্রোতা আমার সঙ্গে ছিলেন, যাঁদের বরাবর সমর্থন পেয়েছি। তাঁরা দেশের প্রতিটি কোণ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার খুব ভাল লাগে যখন লোকজন আমায় বলে যে, তারা নিজেদের ভাষায় মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনতে পান। এর জন্য আমি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পত্রিকাগুলিকেও ধন্যবাদ। এছাড়া ইউটিউবারদেরও অনেক ধন্যবাদ, যাঁরা মন কি বাত নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান করেছেন।”
১০ বছর পূরণ হয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-রও। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই মাসে মেক ইন ইন্ডিয়া-র ১০ বছর পূরণ হচ্ছে। আজ ভারত উৎপাদনে বিশ্বের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠেছে। বিশ্ব এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এখন আমরা দুটি বিষয়ে জোর দিচ্ছি, এক গুণমান, দ্বিতীয়-ভোকাল ফর লোকাল।” সেইসঙ্গে উৎসবের মরশুমেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য ব্যবহারের আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরেই ২০০-রও বেশি প্রত্নসামগ্রী, যা কোনও সময় পাচার হয়ে গিয়েছিল, ভারতকে ফেরত দেয় মার্কিন প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। আমি সবসময় বলি বিকাশ ভি, বীরাসত ভি। ভারতের বহু প্রত্নসামগ্রী আমেরিকায় চোরাচালান হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর ডেলাওয়্যারের বাড়িতে আমায় ওই প্রত্নসামগ্রীগুলি দেখিয়েছেন। টেরাকোটা, পাথর, কাঠ, পিতল ও ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি ওই প্রত্নসামগ্রীগুলি। এগুলি দেখে বোঝা যায় আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে কতটা গুরুত্ব দিতেন, কতটা যত্নের সঙ্গে নিখুঁত কাজ করতেন।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে পুদুচেরির সমুদ্রসৈকত সাফাই নিয়েও কথা বলেন। তিনি পুদুচেরির বাসিন্দা রামিয়াজিকে ধন্যবাদ জানান, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত সাফাই অভিযান চালাচ্ছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন, তাঁকে সম্মান জানিয়েই স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করা হয়েছিল। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্যের কারণে ‘বর্জ্য থেকে সম্পদ’ মন্ত্রটি জনপ্রিয় হয়েছে। মানুষজন পুনর্ব্যবহার নিয়ে কথা বলছেন।” তা ছাড়া, ‘একটি গাছ মায়ের নামে’ কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, “এই কর্মসূচিতে দারুণ সাড়া মিলেছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও তেলঙ্গানায় চারা রোপণে রেকর্ড হয়েছে।”