সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছুঁয়ে টানা তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবার রাষ্ট্রপতিভবনে ঠিক ৭.২৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মোদির পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিতে দেখা গেল রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমণ, জেপি নাড্ডা, শিবরাজ সিং চৌহান, মনহরলাল খট্টর, কুমারস্বামী-সহ একঝাঁক নতুন মুখকে। তবে নয়া মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হলেও শরিকদের সমর্থনে গঠিত মোদি-৩ সরকারে রয়ে গেল 'যদি'র আশঙ্কা।
২০১৯ সালের ৩০৩ আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা অনেকখানি কমেছে বিজেপির। মাত্র ২৪০ আসন পাওয়া বিজেপি এবার শরিকদের সাহায্য নিয়ে সরকার গড়ছে। তিন দশকের পুরনো দুয়োরানি থাকা সঙ্গীরা গত ১০ বছরে ব্রাত্য থাকার পর হঠাৎ করেই পাওয়া শুরু করেছে বাড়তি গুরুত্ব। আসলে সহজ পাটিগণিতে প্রধানমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন, সরকার চালাতে গেলে এবার সঙ্গীদের চটানো যাবে না। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে মন্ত্রিসভাতেও। এবার জোট সঙ্গীদের ছাড়তে হয়েছে অনেকগুলি মন্ত্রক। পাশাপাশি এই জোটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শরিক হয়ে উঠেছে টিডিপি ও জেডিইউ। এই দুই দলেরই মোট আসন ২৮। এই সংখ্যাই ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার অন্যতম কারিগর। তাই এই দুই দলকে এবার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। দুই দল থেকে একাধিক জন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর স্ট্রাইক রেট কমল ২৯ শতাংশ! বাড়ছে রাহুলের সাফল্যের হার]
রবিবার রাষ্ট্রপতিভবনে মোদি মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোট ৩০ জন। এর পাশাপাশি ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে এবার অত্যন্ত সতর্ক নরেন্দ্র মোদি। তিনি ভালো করেই জানেন সঙ্গীদের চটালে হারাতে হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। ইতিমধ্যেই আশঙ্কার মেঘ দেখা গিয়েছে শিব সেনা শিন্ডে শিবিরে। পাশাপাশি কোনওভাবে চন্দ্রবাবু ও নীতীশ যদি সঙ্গ ছাড়েন সেক্ষেত্রে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা মোদি-৩ সরকারের পতন নিশ্চিত। ফলে শপথ নিলেও 'যদি' আশঙ্কা কাটছে না মোদির মন্ত্রিসভায়।