রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামী মাসে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। আরএসএস ঘনিষ্ঠ ওই ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের মহারাজদের নিয়ে শুক্রবার দিল্লি গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত ওই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন।
মোদিকে আমন্ত্রণ জানাতে শুক্রবার সকালেই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি। ব্রিগেডের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের তরফে সন্ন্যাসীদের নিয়ে সুকান্ত দেখা করেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। দেখা করার পর সুকান্ত জানান, ”সন্ন্যাসীরা এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে। সেই টিমে আমিও ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন ব্রিগেডে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গীতাপাঠ হবে। ইতিমধ্যে ওইদিন উপস্থিত থাকার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফেলেছেন।’’
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে গেরুয়া জার্সি কেন?’, গৈরিকীকরণ নিয়ে সরব মমতা]
২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে উপস্থিত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও সুকান্ত জানিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে পদ্মশিবির হিন্দুত্ববাদী আবহ তৈরি করে নিজেদের পালে হাওয়া তোলার কৌশল নিয়েছে। বিজেপির এই ধরনের ধর্মীয় রানীতির সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ‘‘যাদের হাতে উন্নয়ন নেই, তারা এই ধর্মের রাজনীতি করবে। আর গীতা বিক্রির দায়িত্ব বিজেপিকে দেয়নি। গীতা আমরাও পড়ি। গীতা নিয়ে রাজনীতি ব্যর্থ হবে। যাদের রুটি-কাপড় দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তারা এসব করছেন।’’
[আরও পড়ুন: পরিবারে বিয়ের সানাই, পাহাড়ি মেয়েকে ঘরে আনতে বরযাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন মমতা]
জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রিগেডে তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে গীতার প্রধান ৫টি অধ্যায় পাঠ করা হবে। অন্তত ১ লক্ষ সমবেত কণ্ঠে গীতাপাঠ হবে। ব্রিগেডে এই ধর্মীয় সমাবেশ গেরুয়া পন্থী সংগঠন অখিল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ করলেও পিছনে পুরোপুরিভাবে রয়েছে বিজেপি ও সংঘ পরিবার। এদিকে, আয়োজক সংগঠনের দাবি, মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ওইদিন ব্রিগেডে পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর উপস্থিত থাকার কথা।