সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার বিকেল ৩টেয় লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election commission of India)। তার ঠিক আগেই শুক্রবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গত ১০ বছরে মোদি সরকারের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। আগামী দিনেও দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সকলের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের ঠিক আগে মোদির খোলা চিঠিকে সরকারিভাবে প্রচারের কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
'বিকশিত ভারতের' লক্ষ্যে দেশবাসীর সমর্থন চেয়ে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, 'আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক দশক পূর্ণ করতে চলেছে। ১৪০ কোটির পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাস, সহযোগিতার এই সম্পর্ক আমার জন্য কতখানি তা ভাষায় ব্যক্ত করা কঠিন। সাধারণ মানুষের জীবনে গত ১০ বছরে যে সদর্থক পরিবর্তন ঘটেছে তা আমাদের সরকারের কৃতিত্ব। আমাদের একের পর এক সদর্থক নীতি গরিব, কৃষক, যুবক ও মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।' এ প্রসঙ্গে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পগুলির কথা।
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীরা মুখ লুকনোর জায়গা পাবে না’, ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুতে সাফাই শাহের]
এছাড়াও চিঠিতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর মনোভাব, মহিলা সংরক্ষণ, নয়া সংসদ ভবন তৈরির বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে এই সব বড় সিদ্ধান্ত নিতে কখনও পিছু পা হয়নি তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'আপনাদের বিশ্বাস এবং সমর্থন পেয়েছি বলেই আমরা 'জিএসটি' চালু করতে পেরেছি। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি সম্ভব হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আপনাদের বিশ্বাস ও সমর্থন ছিল বলেই গত ১০ বছরে এমন ঐতিহাসিক ও বড় পদক্ষেপ করতে আমরা সফল হয়েছি।'
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
অবশ্য নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি সরকারিভাবে নির্বাচনী প্রচার হিসেবে দেখছে বিরোধীরা। নিয়ম অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এরপর থেকে সরকারিভাবে কোনও রকম প্রচার আইন বিরুদ্ধ। তাই পরিকল্পিত ভাবে ভোট ঘোষণার আগেই খোলা চিঠির মাধ্যমে ভোটের প্রচার সারছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
প্রসঙ্গত, সরকারি খরচের অপব্যয় করে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন্দ্র মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিল তৃণমূল। এবার আদর্শ আচরণবিধি লাগুর ঠিক আগে মোদির এহেন প্রচার কৌশল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।