সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন নীরব মোদি। সঙ্গে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। তদন্তে নেমে এমনটাই জানাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মতে, ১ জানুয়ারি দেশ ছেড়েছেন মোদি। আর ২৯ জানুয়ারি সিবিআইয়ের কাছে মোদির নামে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে পিএনবি। মোদির নামে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস।
[ বৃহত্তম ব্যাংক কেলেঙ্কারির নাটের গুরু, কে এই ‘হীরক রাজা’ নীরব মোদি? ]
দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষাকে প্রায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে চম্পট হীরক রাজের। পিএনবি বলছে, এই জালিয়াতির সূত্রপাত ২০১১ সাল থেকে। তাহলে এতদিন কেউ কোনও টের পেল না? গোটা দেশবাসীর এখন এটাই প্রশ্ন। যদিও রাজনীতির চিরাচরিত ধারা মেনে বর্তমান সরকার দায় ঠেলেছে পূর্বতনের দিকে। আর বিরোধীরা আক্রমণ শানাচ্ছে প্রশাসনের দিকে। এর মাঝেই ঝুলে আছে দেশের ১১ হাজার কোটি টাকা। জালিয়াতি প্রথম ব্যাংকের নজরে আসে চলতি বছরেরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে। ২৯ জানুয়ারি সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানায় ব্যাংক। কিন্তু তার আগেই পগার পার নীরব মোদি।
[ কেলেঙ্কারি ধরে ফেলে আমরাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছি, সাফাই পিএনবি কর্তার ]
এদিকে মোদির বাসস্থান ও ব্যবসার জায়গা-সহ মোট ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। হীরে ও মূল্যবান সামগ্রী মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৫১০০ কোটির সম্পত্তি। কিন্তু অনাদায়ী টাকার পরিমাণ তার থেকেও বেশি। এদিকে বৃহস্পতিবারই আরবিআই, টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে পিএনবি-কে। কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যাংক কীভাবে ফেরাবে, তার কোনও সদুত্তর নেই ব্যাংক কর্তাদের কাছে। যদিও ভরসা দিয়ে তাঁরা বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী এ ব্যাংক এ সংকট কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু কীভাবে কাটাবে তার উপায় স্পষ্ট নয়।
[ PNB-তে ১১,৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, সিবিআইয়ের নজরে ধনকুবের নীরব মোদি ]
শুধু নিজেই পালিয়ে যাননি মোদি, দফায় দফায় পরিবারের সকলকেও নিয়ে চলে গিয়েছে। মোদির বিরাট ব্যবসার কাজে দোসর ছিলেন তাঁর ভাই নিশাল মোদি। তিনিও দেশ ছেড়েছেন একই দিনে। মোদির স্ত্রী অ্যামি দেশ ছাড়েন ওই মাসের চার তারিখ। আর সব গুছিয়ে ৬ তারিখ চলে যান মোদির কাকা। আপাতত এদের প্রত্যেকের নামেই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সিজ করা হয়েছে পাসপোর্ট।