সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হাতে পিএনবি কাণ্ডে অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে তুলে দিতে রাজি হল অ্যান্টিগুয়া। তবে এর জন্য ভারতের কাছ থেকে ‘বৈধ আবেদন’ দাবি করেছে সেই দেশের সরকার।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত নীরব মোদির মামা চোকসি। বর্তমানে সে অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছে বলে খবর। সে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুয়ার সরকার ভারতকে সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। তবে তা অবশ্যই আইনসঙ্গত হতে হবে। এর জন্য ভারত সরকারকে ‘আইনসঙ্গত আবেদন’ পাঠাতে হবে বলেও জানিয়েছে তারা। অ্যান্টিগুয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এমনই একটি বিবৃতি প্রকাশ পেয়েছে।
[ ডোকলামে ফের তৎপর হচ্ছে চিন, মার্কিন রিপোর্টেও উদাসীন নয়াদিল্লি ]
এর আগে ভারতের তরফে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্ণার নোটিস জারি করার কথা বলেছিল। সেটি এবার সম্ভবত খুব তাড়াতাড়ি হতে চলেছে। অ্যান্টিগুয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলা হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে কোনও প্রত্যার্পণ চুক্তিতে সই করেনি। চোকসির বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ নেই। ভারতে থাকাকালীনও চোকসির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গত বছর নভেম্বর মাসে চোকসি অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নেয়। সেদেশের সংবাদমাধ্যম এই কারণে অ্যান্টিগুয়ার সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট ইউনিটকে (CIU) তুলোধোনা করেছে। এর জবাবে সিআইইউ জানিয়েছেন, ইন্টারপোল থেকে চোকসির ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে খবরাখবর নেওয়ার পরই তার আবেদন গ্রাহ্য করা হয়েছে। তবে সিবিআই এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মতে, ইন্টারপোল তাদের কাছ থেকে চোকসির ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কোনও খোঁজ খবরই নেয়নি।
[ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই নয়া জমানা শুরুর ইঙ্গিত ইমরানের ]
ঘটনাটি নিয়ে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের মতে, নরেন্দ্র মোদি শাসিত সরকার যেন নীরব মোদি বা মোহুল চোকসির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা না বলে। কারণ এমন কথা তাদের মুখে মানায় না। এই নিয়ে একটি টুইটও করা হয়। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, এমন অপরাধের পর কীভাবে চোকসি অ্যান্টিগুয়ার পাসপোর্ট পেতে পারে, তার জবাব দিক কেন্দ্র। অ্যান্টিগুয়ার পাসপোর্ট পেতে অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে না। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হল কী করে? চোকসি কী করে এত কম সময়ে পাসপোর্ট পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল।
কংগ্রেস এও অভিযোগ তুলেছে, এবছর ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্টিগুয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এর ঠিক পরপরই চোকসি অ্যান্টিগুয়ার পাসপোর্ট পায়।