shono
Advertisement

করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে জমজমাট চৈত্র সেলের বাজার, চুটিয়ে কেনাকাটা বাঙালির

পয়লা বৈশাখের আগে বাজার জমার আশায় ব্যবসায়ীরা।
Posted: 01:49 PM Apr 04, 2022Updated: 01:49 PM Apr 04, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: পুজো ছিল, দীপাবলি ছিল, চৈত্র সেলও ছিল। কিন্তু গত দু’বছর যেটা ছিল না, তা হল হকারের সামনে ঠেলাঠেলি, শাড়ি-সালোয়ারের দোকানে চেনা ভিড়, জামা-কাপড়ের নতুন কোনও ট্রেন্ড। কিন্তু পয়লা বৈশাখের (Poila Baisakh) আগে চৈত্র সেলে ফের বাজার জমার আশায় ব্যবসায়ীরা। মাস পয়লা পড়ে গিয়েছে। মানে বেতন হয়ে গিয়েছে অফিসের বাবুদের। আর মাইনে পকেটে আসতেই রবিবারের সেলের বাজার ছিল বেশ জমজমাট।

Advertisement

ফাইল চিত্র

আগামী রবিবার এই ভিড় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই মতোই গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার হাঁকডাক শুরু হয়ে গিয়েছে। হচ্ছে ভিড়। যা গত দু’বছর দেখা যায়নি। শুধু শহর নয়, জেলা মফঃস্বলেও একই চিত্র। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে পয়লা বৈশাখ তো রয়েইছে। সঙ্গে শুরু রমজান মাস। ইদের কেনাকাটাও এই সময়ই শুরু হয়ে যায়। আগামী কয়েকদিন বাজার তাই বেশ ভালই হবে বলে মনে হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: হনুমানকে রোজ খাবার দিতেন বৃদ্ধা, অসুস্থ হওয়ার পর মানুষের মতোই সেবা করছে না-মানুষ!]

করোনা (Coronavirus) আবহে সেই ২০২০ থেকেই কেনাকাটায় মন ছিল না বাঙালির। ব্যবসা মন্দা থাকায় নতুন মাল তোলেননি দোকানদাররাও। গতবারের পুজোতে বাজারের হাল কিছুটা ফিরলেও পুরনো স্টক দিয়েই ক্রেতা টেনেছেন দোকানদাররা। কিন্তু এবার চৈত্র সেলে অনেক নতুন ডিজাইনের পোশাকই রয়েছে গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা, নিউমার্কেট থেকে শ্যামবাজারের দোকানে। বাড়তি পাওনা ডিসকাউন্ট। কোনও দোকান দিচ্ছে কেনাকাটায় ছাড়, কোথাও আবার দু’টোর সঙ্গে একটা ফ্রি-র অফার রয়েছে। শপিংমলগুলোতও বেশ ভাল ভিড়ই নজরে এসেছে।

ফাইল ছবি

অতিমারীর সময়ে বহু মানুষের চাকরি চলে গিয়েছিল, অনেকের আবার মাইনে কমেছিল। ফলে পুজো বা নতুন বছরে নতুন জিনিস কেনাকাটা সাধারণ মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের কাছে কিছুটা ছিল বিলাসিতাই। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ কাটতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। কেনাকাটাতেও ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। অনলাইন তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ ছুটছেন শপিং মল থেকে হকারপট্টি, সর্বত্রই। বড়বাজারের হোলসেলাররাও জানাচ্ছেন, বাজারে এবার ডিমান্ড এসেছে নতুন পোশাকের। গত দু’বছর যে দোকানদার নতুন কোনও শার্ট তোলেননি, সেই দোকানদারই এবার চৈত্র সেলেই দেড় হাজার পিস শার্ট তুলেছেন।

কনফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, “এবার চৈত্র সেলের বাজার খুব ভাল হবে, আশা করা যায়। করোনাতঙ্ক কাটিয়ে বাজার এখন বেশ ভাল। গত এক মাসে সর্বোচ্চ জিএসটি কালেকশন হয়েছে। তাতেই তো বোঝা যাচ্ছে, সব বাজারই দিন দিন ভাল হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকেও পুষ্পা রাজ! ‘আপুন লিখেগা নেহি,’ উত্তরপত্রে লিখল পরীক্ষার্থী, হতভম্ব শিক্ষক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement