অর্ণব আইচ: কোভিডবিধি (Covid Norm) লঙ্ঘন করে কীভাবে পার্টির আয়োজন হল? কেন বিদেশিনীদের নামে ভাড়া নেওয়া ঘরে পার্টির আয়োজন হত? পার্টিতে কে বা কারা জোগান দিত মদ এবং অন্যান্য মাদক দ্রব্য? পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত হোটেলে পার্টির ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। উত্তরের খোঁজে ফের ৬জন ম্যানেজারকে তলব করা হয়েছে। শুক্রবার লালবাজারে তাদের জেরা করা হবে।
চলতি মাসেই উইকএন্ডে দেদার বক্স বাজিয়ে পার্টির (Party) আয়োজন হয় পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত হোটেলে। তা নজর এড়ায়নি পুলিশ। তড়িঘড়ি হোটেলে হানা দেন পুলিশকর্মীরা। পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা, ধস্তাধস্তিও হয়। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, একটি সংস্থা মহিলাদের নামে হোটেলের ঘর ভাড়া নিত। বিদেশিনীদের নামেও ঘরভাড়া নেওয়া হত। তারপর ওই ঘরগুলিতে দেদার ‘ফুর্তি’ চলত। পার্টিতে উচ্চস্বরে বক্সের ব্যবস্থার পাশাপাশি মদ্যপানও চলত। এমনকী গাঁজাও সেবন করত কেউ কেউ। অভিজাত হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে আগেই সেই প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে মাদক। রাজ্যজুড়ে করোনাবিধি জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দিয়েছিল, তাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: রেলে চাকরির টোপ দিয়ে বেনামে ‘বিয়ে’, ফাঁস ভুয়ো ডিএসপির সঙ্গী পুলিশকর্মীর নয়া কীর্তি]
এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে জেনারেল ম্যানেজার-সহ ১০জনকে আগেই তলব করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হবে বলেই আশা করেছিলেন তদন্তকারীরা। আবারও ৬ জন ম্যানেজারকে (Manager) তলব করা হয়েছে। শুক্রবার লালবাজারে তাঁদের জেরা করা হবে। কোভিডবিধি লঙ্ঘন করে হোটেলে পার্টি কাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্য তাদের থেকে পাওয়া যায় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে তদন্তকারীরা।