সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপনির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে ফের ভবানীপুরে তুলকালাম। শ্রীজীব বিশ্বাসের প্রচারে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সুজন চক্রবর্তীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় দু’পক্ষের। কোভিডবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি পুলিশের।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election)। তার আগে আজই শেষ রবিবার। এদিন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের সমর্থনে ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারছিলেন তাঁরা। প্রচার করতে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকতে যান তাঁরা। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। বাধা পাওয়ামাত্রই সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা মেজাজ হারান। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান তাঁরা। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় সুজন চক্রবর্তীর। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকতে না দেওয়ায় উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়তে থাকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।
[আরও পড়ুন: WB Bypolls: ভবানীপুরের ভোটার প্রশান্ত কিশোরকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ বিজেপির]
সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ভোটপ্রচার করতে দেওয়া হয়নি। যদিও সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন হাই সিকিউরিটি জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রার্থী-সহ মোট পাঁচজনকে ভোটপ্রচারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের প্রচারে ৫ জনের পরিবর্তে আরও অনেকেই ছিলেন। সে কারণেই মিছিলে বাধা দেওয়া হয়। তবে সে দাবি মানতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের।
যদিও সুজন চক্রবর্তীকে পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। প্রচারের আলোয় আসার জন্যই সুজন চক্রবর্তী ভোটপ্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন বলেই দাবি তাঁর। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) প্রচারেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নবনিযুক্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।