অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বালিতে (Bally) জাতীয় স্তরের ক্যারাটেকা পামেলা অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। সানি খান ওরফে শেখ ফারুককে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পামেলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নাম ভাঁড়ায় অভিযুক্ত। আদতে শেখ ফারুক নিজেকে সানি খান নামে পরিচয় দেয়। পামেলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। মাত্র কয়েকদিনেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতার রূপ নেয়। ইতিমধ্যেই পামেলা জানতে পারে সানি বিবাহিত। যদিও সেকথা বেমালুম লুকিয়ে গিয়েছিল সানি। জানতে পারার পরই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরী ক্যারাটেকা। তবে তারপর থেকে সানি পামেলাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় সানি। একে তো সম্পর্কে প্রতারণার শিকার সে আবার তার উপর সম্মানহানির আশঙ্কা – সব মিলিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বালির পামেলা। সে কারণেই নিজের হাতে মোবাইলের পাসওয়ার্ড লিখে আত্মঘাতী হয় কিশোরী। গ্রেপ্তারির পর গোটা ঘটনার কথাই স্বীকার করে নিয়েছে সানি।