বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পেট্রোল (Petrol), ডিজেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের বাধার মুখে বামফ্রন্ট (Left Front)। শুক্রবার ঢাকুরিয়ার কাছে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় প্রতিবাদ মঞ্চও। শুক্রবার কলকাতা বামফ্রন্টের তরফে এই প্রতিবাদের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। প্রাক্তন সিপিএম (CPM) বিধায়ক, পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী-সহ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব বামফ্রন্ট।
শুক্রবার ঢাকুরিয়ার (Dhakuria) ইন্ডিয়ান অয়েলের কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভে শামিল হন কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের সদস্যরা। দিনদিন পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাঁদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পূর্বঘোষিতই ছিল। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, এর জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশের অনুমতি নেওয়া ছিল। লেক থানার পুলিশ অনুমতি দেওয়ার ফলেই তাঁরা মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলে দাবি। কিন্তু অভিযোগ, তা শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশ গিয়ে মঞ্চ ভেঙে দেয়।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে SSC মামলা: ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে কমিশন]
এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি বেঁধে যায় বাম কর্মী, সমর্থকদের। দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকুরিয়া চত্বর। পুলিশ সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)-সহ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যায়। পরে সুজন চক্রবর্তীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিদের এখনও আটকে রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মুখর কলকাতার বাম নেতৃত্ব। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। পালটা পুলিশের বক্তব্য, করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে বিধি ভেঙে জমায়েত করা হয়েছিল। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।