সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুই ‘শার্প শুটার’কে বিহারের বৈশালী থেকে গ্রেপ্তার করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ধৃতদের নাম মুকেশ কুমার ও পবন কুমার। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের টিআই প্যারেড করানোর আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। ধৃতরা রাজু ঝা খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং গুলি চালানোর ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে পুলিশ। এর আগে এই খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজন অভিজিৎ মণ্ডল দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তারপর ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে সিট। তাদের সূত্র ধরে বিহারের বৈশালী সংশোধনাগারে বন্দি বিচারাধীন বন্দি মুকেশ কুমারের রাজু খুনে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে সিট। সেই সূত্রেই পুলিশ আদালতের অনুমতি নিয়ে বৈশালী সংশোধনাগারে গিয়ে মুকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তে পুলিশ পবনের জড়িত থাকার কথাও জানতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ কংগ্রেস প্রার্থী, ভোটের আগে সামশেরগঞ্জে পোস্টার রহস্য]
সিটের একটি দল বৈশালীতে যায়। মুকেশ ও পবনকে গ্রেপ্তার করে। সেখানকার আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে বর্ধমান নিয়ে আসে পুলিশ। এদিন ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের টিআই প্যারেডের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশ কিছুদিন মাদক মামলায় বৈশালীতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বৈশালী সংশোধনাগারে ছিল সে। সেখানে গিয়ে তাকে জেরা করে খুনের ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা জেরায় রাজু ঝা খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত বলে স্বীকার করেছে। আরও কয়েকজনের যুক্ত থাকার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।