অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাই কোর্টের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই বাজি ফাটানোর অভিযোগ। টের পেয়ে বাধা দিতেই আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। গুরুতর জখম তাঁদের মধ্যে ২ জন। বেলুড়ের এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে।
জানা গিয়েছে বুধবার রাতে বেলুড়ের (Belur) শ্রমজীবী হাসপাতাল নিকটস্থ একটি আবাসনের বাসিন্দারা দেদার বাজি ফাটাতে শুরু করে। খবর কানে যাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হন বালি থানার পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশ মনে করিয়ে বাজি পোড়াতে বারণ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজি। আটক করা হয় আবাসনের ৫ জনকে। অভিযোগ, সেই সময়ই পুলিশের উপর চড়াও হয় আবাসনের বেশ কয়েকজন। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ ও আবাসিকরা। এরপরই পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয় ২ জন। রাতেই আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের ভরতি করা হয় বেলুড় হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে বাজেটে কাটছাঁট, ‘ব্রাত্য’ ডাকিনী-যোগিনী, কমল ৪০ ফুটের কালীর উচ্চতাও]
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ওই আবাসনের মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১ জন নাবালক। উল্লেখ্য, চলতি বছরে বাজি বিক্রি ও বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তা সত্ত্বেও লুকিয়ে কোথাও কোথায়ও চলেছে বাজি বিক্রি। সেখবর পাওয়ামাত্রই আদালতের তরফে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যকে। কোথাও বাজি বিক্রি হচ্ছে দেখলেই ওই নম্বরে অভিযোগ করতে পারবেন আমজনতা। এছাড়াও যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে পুলিশও। কিন্তু এসব সত্ত্বেও গোপনে বাজি ফাটানো চলছেই।