চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: দুর্ঘটনায় প্রৌঢ়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা। পুলিশ ও তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়াল উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, বিক্ষুব্ধদের গলা টিপে ধরে পুলিশ। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টা পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনলেও এখনও থমথমে এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। এদিন সাইকেলে বড়ঞা থানার কুলির দিকে যাচ্ছিলেন বছর ৫৫-এর এক প্রৌঢ়। কুলির মোড় এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তা পার করার সময় প্রৌঢ়কে ধাক্কা দেয় বালি বোঝাই লরি। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। এরপর তাঁকে পিষে দেয় লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এলাকার ব্যবসায়ীরা ঘাতক লরিটি আটকে ও প্রৌঢ়ের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে প্রৌঢ়ের পরিবারের সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। শামিল হন বিক্ষোভে। অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে কান্দি-সাঁইথিয়াগামী ১১ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আটকে পড়ে গাড়ি। পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
[আরও পড়ুন: মুমূর্ষু রোগীদের পাশে থাকার ভাবনা, বউভাতের অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির নবদম্পতির]
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের তোলাবাজির কারণেই দ্রুত গতিতে রাস্তা পেরনোর চেষ্টা করে লরি। যার জেরে ঘটে দুর্ঘটনা। এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তাতেও লাভ হয়নি। এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ, আমজনতা ও তৃণমূল। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের গলা টিপে ধরে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশকে গাড়ি আটকে টাকা নেওয়া বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।