সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভে বুধবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারী অরুণিমা পালের হাতে কামড় দিতে দেখা যায় মহিলা পুলিশকর্মী ইভা থাপাকে। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে পুলিশ। পালটা আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে পুলিশ। তবু তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। এবার এই ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পুলিশের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর তিনি বলেন, “সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। অথৈ জলে পড়েছে। ডিএ নেই। ধরনা চলছে। চাকরি নেই। বেতন নেই। সব কিছুই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আর সামলানোর ক্ষমতা নেই। পুলিশ এখন তৃণমূলের ক্যাডার।” যদিও দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। কোনও কিছু না জেনেই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন বলেই দাবি শাসকদলের।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে কুণালের সভা ‘বানচালের চেষ্টা’ বিজেপির! পালটা হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার]
উল্লেখ্য, বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টেট উত্তীর্ণরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করা হয়। প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। অশান্তির মাঝে বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালের দিকে ছুটে আসেন ইভা থাপা নামে এক পুলিশকর্মী। হাতে কামড় বসান ওই মহিলা পুলিশকর্মী। যদিও পুলিশের তরফে পালটা অরুণিমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আক্রান্ত-সহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রত্যেককে আদালতে তোলার কথা।
ইভা থাপা নামে ওই পুলিশকর্মী বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন আক্রান্তকে গ্রেপ্তার এবং আক্রমণকারীকে হাসপাতালে ভরতি করা হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অরুণিমার হাতে কামড় দেওয়া ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অরুণিমা-সহ ৩০ জন বিক্ষোভকারীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখান টেট উত্তীর্ণরা।