ধীমান রায়, কাটোয়া: বাইক আটকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে পালিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। আর এটা সম্ভব হল এক ভিলেজ পুলিশের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার ভেদিয়া এলাকা থেকে ওই দুজনকে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ইব্রাহিম শেখ ও তুফান চৌধুরী। দুজনেরই বাড়ি কাটোয়া থানার রাজোয়া গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তারের পর বুধবার বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টা ঠিক কী? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বর্ধমান সিউড়ি ২ বি জাতীয় সড়কের ধারে সুরজ শেখ নামে এক লটারি বিক্রেতার দোকান রয়েছে। সুরজের বাড়ি মঙ্গলকোটের আয়মা গ্রামে। তার গ্রামেরই বাসিন্দা শাজাহান শেখ নামে এক যুবক ওই দোকানে কাজ করেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে শাজাহান দোকান থেকে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নগদ এবং একটি চেক নিয়ে যাচ্ছিলেন গুসকরায়। একটি ব্যাঙ্কে টাকা ও চেক জমা করার কথা ছিল।
[আরও পড়ুন: জয়নগরের পর পুরুলিয়া, পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ নওশাদ সিদ্দিকির]
শাজাহান জানান, শিববাটি এলাকায় পৌঁছতেই বাইকে চড়ে আসা দুজন চলন্ত অবস্থায় প্রথমে জামার কলার ধরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। তিনি না দাঁড়ালে বাইকে বসে থাকা ব্যক্তি হেলমেট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। যদিও শাজাহানের মাথাতেও হেলমেট ছিল। কিন্তু জোরে আঘাত করায় পড়ে যান। তখন দুই দুষ্কৃতী তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে ভেদিয়ার দিকে চম্পট দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইসময় আউশগ্রাম থানার উক্তা এলাকার ভিলেজ পুলিশ সুজন পাল ডিউটি শেষ করে গুসকরা থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি শাজাহানকে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে ভাবেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পরে শাজাহান তাকে ঘটনার কথা বলতেই সুজন ভেদিয়া এলাকার ভিলেজ পুলিশ জাকির শেখকে ফোন করেন। জাকির ভেদিয়া পুলিশ ক্যাম্পে জানালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা ওই দুই দুষ্কৃতীর উদ্দেশ্যে ধাওয়া করেন। তারপর বুধরা গ্রামের কাছে ধরা পড়ে অভিযুক্তরা। তাদের কাছ থেকে টাকা-সহ ব্যাগ উদ্ধার হয়। পুলিশ ধৃতদের বাইক, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে আরও দুজন ছিল। তারা গোবিন্দপুর থেকেই শাজাহানকে অনুসরণ করছিল। তাদের হদিশ পেতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।