বিধান নস্কর, সল্টলেক: লাল ট্রলিব্যাগ বন্দি অবস্থায় প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। মৃত ব্যক্তির পরিচিত এক ব্যাঙ্ককর্মীকে আটক করল পুলিশ। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে এক তরুণীও। প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে, তা মোটের উপর নিশ্চিত। কী কারণে খুন করা হল তাঁকে, কারাই বা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টেকনোসিটি থানার পুলিশের দাবি, ওই প্রৌঢ়ের নাম সুবোধ সরকার। ওড়িশায় একটি ছাপাখানা ছিল তাঁর। বিক্রি করে দেন। গত ৩ মাস ধরে বেলঘরিয়ার বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। সঙ্গে থাকতেন এক তরুণী। তিনি ওই ছাপাখানায় কাজ করতেন। নাতনি বলেই সর্বত্র পরিচয় দিতেন সুবোধবাবু। ওই নাতনি কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কর্মসূত্রে রোজ বেলঘরিয়া থেকে কলকাতায় যাতায়াত ছিল তরুণীর। শনিবার সকালে নিউটাউনের পাচুরিয়া খাল থেকে ট্রলিব্যাগ বন্দি অবস্থায় সুবোধবাবুর দেহ পাওয়া যায়। তার পর থেকেই পুলিশের স্ক্যানারে ওই তরুণী।
[আরও পড়ুন: লাল ট্রলিব্যাগ চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত! চেন খুলতেই বেরিয়ে এল দেহ]
প্রৌঢ়ের নাম, পরিচয় জানার পর টেকনোসিটি থানার পুলিশ বেলঘরিয়ার ভাড়াবাড়িতে হানা দেয়। তরুণীকে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়। কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি বেলঘরিয়ায় পৌঁছন তিনি। তরুণী জানান, প্রতিদিন শিয়ালদহে নিজের ছেলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারতে যেতেন প্রৌঢ়। তবে শুক্রবার এলাকারই এক অনুষ্ঠান বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান সুবীরবাবু। শনিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথায় গভীর ক্ষত ছিল তাঁর।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশ পটাশপুর এলাকা থেকে সৌম্য জানা নামে এক ব্যাঙ্ককর্মীকে আটক করেছে। নাকা চেকিংয়ের সময় একটি অ্যাপ ক্যাবে রক্তের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। ওই অ্যাপ ক্যাবেই ছিল সৌম্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, দেহটিকে নির্জন জায়গায় ফেলার জন্য অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করা হয়েছিল। কী কারণে সুবোধ সরকারকে খুন করা হল, তা অবশ্য জানায়নি সৌম্য। তরুণী ও ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।