অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সংগ্রামী বন্ধুদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ধৃতদের মোবাইলে সেই রকম কোনও ভিডিও পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর। তাই ভিডিও ডিলিট করা হয়েছে কি না, আর কাউকে সেই ভিডিও পাঠানো হয়েছে কি না, ধৃত দুজনের মধ্যে কার মোবাইলে ভিডিও করা হয়েছিল, তা জানতে ধৃত দুজনেরই মোবাইল ফরেনসিককে পাঠানো হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি শনিবার ঘটনার রাতে অভিযুক্ত শুভম নির্যাতিতাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার কথা বলেছিল বলেই জানা গিয়েছিল। এর আগে আর কাউকে ধৃতরা ফোন করেছিল কি না, তরুণীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে কার কার সঙ্গে ধৃতরা যোগাযোগ করেছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোদপুরের বাসিন্দা তরুণী চিকিৎসককে আর জি করে কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য তথা গোটা দেশ। এলাকার মেয়ের ন্যায়বিচারের দাবিতে সোদপুরের ট্রাফিক মোড়ে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আন্দোলনের ডাকে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন আমজনতা। এমনই এক প্রতিবাদে গলা মেলাতে গিয়েছিলেন বছর উনিশের তরুণী। একই প্রতিবাদে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদে নেমেছিল বেলঘরিয়ার বাসিন্দা শুভম ধর। এভাবেই দুজনের আলাপ হলে ফেসবুকেও তাঁরা প্রায়ই কথা বলতে শুরু করেন। প্রতিবাদী এই বন্ধুর উপর বিশ্বাস করে অন্যত্রও তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তরুণী।
সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে তরুণীর মনোমালিন্য হওয়ায় খড়দহের এম এস মুখার্জি রোডের বাড়িতে সে একা থাকতে শুরু করে। গত শনিবার রাতে সেই বাড়িতে বন্ধু অর্ঘ্য দাসকে নিয়ে যায় শুভম। সেখানেই তিনজন মদ্যপান করলে তরুণী বেহুঁশ হয়ে পড়ে। এর পরই তাকে দুজনে ধর্ষণ করে ভিডিও করে বলে অভিযোগ। এর পর সেই ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। রবিবার এ নিয়ে তরুণী অভিযোগ দায়ের করলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝা জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি ভিডিও করার অভিযোগে আইটি অ্যাক্টে কেস হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনেরই মোবাইল সিজ করা হয়েছে। দ্রুত ফরেনসিকে পাঠানো হবে।