সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদুদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) বিরুদ্ধে। কেবল এই অভিযোগই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া ও কোভিড (COVID-19) বিধি ভাঙার অভিযোগও আনা হয়েছে।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। সেজন্য়ই তিনদিনের প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন ওয়েইসি। তাঁর দল নির্বাচনে ১০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কাটরা চন্দনায় এক জনসভায় দলের হয়ে প্রচার করার সময়ই ওয়েইসি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন।
ঠিক কী বলেছিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ? বারাবাঁকির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট যমুনা প্রসাদের কথায়, ”ওঁর ভাষণে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছিল। উনি দাবি করেছেন, ১০০ বছরের পুরনো রাম সানেহি ঘাটের মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ধ্বংসস্তূপও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা সত্য়ের বিকৃতি। এই ধরনের মন্তব্য করে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন ও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত দিতে চেয়েছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছেন ওয়েইসি।”
[আরও পড়ুন: COVID-19: দেশের কোভিড গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী, কমল দৈনিক মৃত্যুও]
এরই পাশাপাশি ওয়েইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর সভায় সামাজিক দূরত্বের কোনও বালাই ছিল না। তিনি নিজে এবং অন্যদেরও সেভাবে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। এদিকে এদিনের সভায় ওয়েইসি ‘রণং দেহি’ মূর্তি ধারণ করতে দেখা যায়। তিনি অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দেশকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। কেন্দ্রের তিন তালাক বিরোধী আইন প্রসঙ্গে ওয়েইসির খোঁচা, ”বিজেপি নেতারা মুসলিম মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অবিচারের কথা বলেছেন তিন তালাক প্রসঙ্গে। কিন্তু দেশের হিন্দু মহিলাদের দুর্দশা সম্পর্কে তাঁরা পুরোপুরি নীরব।” এরপরই তিনি বলেন, ”আমার বউদি (প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী) একা গুজরাটে থাকেন। তাঁর বিষয়ে কোনও উত্তর নেই কারও কাছে।” ওয়েইসির এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধেই অবমাননামূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের কাউন্টডাউন কার্যত শুরু হয়েই গিয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা সমাজবাদী পার্টির পাশাপাশি ওয়েইসির দলও ঝাঁপিয়েছে ভোট প্রচারে। এদিকে সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটারেরর সমীক্ষা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে আসন কমলেও যোগীর হাতেই থাকতে পারে রাজ্যের শাসনভার।