সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। তার মধ্যেই চার বছর বয়সি দুই শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল মহারাষ্ট্রের বদলাপুর। অভিযোগ, স্কুলের এক সাফাইকর্মী যৌন নির্যাতন চালায় দুই শিশুর উপরে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে জনতা। রেল রোকোর ডাক দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন রেললাইনে বসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিড়ের উপরে লাঠি চালায় পুলিশ। গোটা বদলাপুর জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মী। অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় দুই নির্যাতিতার পরিবার এবং স্থানীয় নাগরিকরা বিক্ষোভে নামলে চাপে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে প্রিন্সিপাল এবং ক্লাস টিচারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নাও অর নেভার’, সুপ্রিম অনুরোধ উড়িয়ে কর্মবিরতি জারি চিকিৎসকদের]
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, দুই শিশুকন্যার পরিবার অভিযোগ জানালেও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে জনতা। রেল রোকোর ডাক দিয়ে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন রেললাইনে। তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বদলাপুরের রেল পরিষেবা। বাতিল হয় ৪২টি ট্রেন। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে রেললাইনে বসে থাকা প্রতিবাদীদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ ঘণ্টা পরে স্বাভাবিক হয়েছে বদলাপুরের রেল পরিষেবা।
তবে গোটা বদলাপুর জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। তাতেও অবশ্য কমছে না প্রতিবাদ কর্মসূচির ঝাঁজ। বাস পরিষেবা বন্ধ করে এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেন বাস চালকরা। এহেন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেশরকর। তিনি বলেন, প্রতিবাদীদের অনেকেই রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানিয়েছেন, সিট গঠন করে তদন্ত হবে গোটা ঘটনার।